সংক্ষিপ্ত
ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে কেলেঙ্কারি কাণ্ড অন্ধ্র উপকূলে। অশনীর জেরে, সমুদ্রে ভেসে আসে আচমকাই রথের চূড়ার মতো একটি বিশালাকার অংশ। অনুমান, সমুদ্রে ভেসে আসা রথের চূড়ার মতো একটি বিশালাকার অংশটি মায়ানমার, থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ার হতে পারে।
ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে কেলেঙ্কারি কাণ্ড অন্ধ্র উপকূলে। অশনীর জেরে, সমুদ্রে ভেসে আসে আচমকাই রথের চূড়ার মতো একটি বিশালাকার অংশ। এমন দৃশ্য দেখা যায় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার সুন্নাপল্লী উপকূলে। অনুমান, সমুদ্রে ভেসে আসা রথের চূড়ার মতো একটি বিশালাকার অংশটি মায়ানমার, থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ার হতে পারে। তবে এহেন ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার সুন্নাপল্লী উপকূলবর্তী এলাকায়। অসংখ্য গ্রামবাসী ওই বিশাকার রথকে দেখতে এসেছে। তাঁদের মনেও অদ্ভুত কৌতহল দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় আচমকাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার সুন্নাপল্লী উপকূলে বিশাল বড় মাপের কিছু একটা ভেসে আসতে দেখা যায়। উপকূলে এগিয়ে আসতেই দেখেন সোনালি রঙের সে এক মস্ত বড় যেন রথেরই চূড়া। গ্রামবাসীরা এরপর দড়ি বেঁধে সমুদ্রের কিনারায় নিয়ে আসে। যার সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মনেস্ট্রিগুলির অনেকটাই মিল আছে। ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরেই এমন কাণ্ড হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
স্থানীয় নাবিকদের মতে, ঘূর্ণীঝড় অশনির জেরে তৈরি সমুদ্রের বড় ঢেউয়েই রথটি উপকূলে ভেসে এসেছে। সোনালি এই রথের খবর পেতেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার সুন্নাপল্লী উপকূলে প্রচুর মানুষ গ্রাম থেকে ছুটে এসেছে। মূলত দক্ষিণ আন্দামান সাগরে উপর প্রথম নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় আন্দামান সাগরের নিকটবর্তী দেশ, যেমন মায়ানমার , থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া থেকে সমুদ্র তরঙ্গই হয়তো এহেন কাণ্ড ঘটাতে পারে।
আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছে, দ্রুত গতিতে শক্তি সঞ্চয় করে অশনি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। যার অর্থ এটি এগিয়ে আসতে পারে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের দিকে। যদিও শনিবার হাওয়া অফিস জানিয়েছিল ঘূর্ণিঝড়টির ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। তবে এখন গতি পরিবর্তন করতে শুরু করেছে নিম্মচাপটি। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেইউপকূলবর্তী এলাকায় বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সেই সঙ্গে হচ্ছে প্রবল বর্ষণ ওই এলকায়।
আরও পড়ুন, গত ১ বছরে জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধিতে ১৫ শতাংশ পার, আজ পেট্রোল-ডিজেলের দাম ফের বাড়ল কি
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সোমবার থেকেই ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার রাত থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া নিন্মচাপটি। তারপর রীতিমত শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছিল। হাওয়া অফিস জানিয়েছে এটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। কিন্তু অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলবর্তী এলাকায় এসেছেই পশ্চিমী বায়ুর প্রভাবে ইউটার্ন নেবে ঘূর্ণিঝড়টি। পাশাপাশি শক্তিও হারিয়ে ফেলবে।