সংক্ষিপ্ত
ওড়িশার বিশের ত্রাণ কমিশন প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন এখনও পর্যন্কত ৬৮৮ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ গর্ভাবতী মহিলা।
সাইক্লোন জাওয়াদ (Cyclone jawad ) ক্রমশই শক্তি হারাচ্ছে। মাঝ সাগরে। তেমনয়ই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। শনিবার রাতের মধ্যে এটি শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে ( Depration) পরিণত হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। রবিবার বিকেলের দিকে এটি পুরী (Puri) উপকূলে পৌঁছে যেতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড় জাভাদ শক্তি হারালেও উদ্ধারকাজে ঢুলে দিতে রাজি নয় উড়িশা সরকার। উপকূলবর্তী এলাকাগুতে এখনও উদ্ধারকাজ জারি রয়েছে।
উড়িশার বিশের ত্রাণ কমিশন প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন এখনও পর্যন্কত ৬৮৮ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ গর্ভাবতী মহিলা। তাঁদের পাঠান হয়েছে পুরী হাসপাতালে। কটক, গঞ্জাম, জগৎসিংপুরের মত উপকূলীয় এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চালান হচ্ছে। উপকূলবর্তী নিচে এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত এক হাজারেও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। জাওয়াদের গতিবিধি আর শক্তির ওপর নজর রেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সবথেকে বেশি সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুরী। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
ভূবনেশ্বর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জাওয়াদ পশ্চিম -মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থিতি রয়েছে। বর্তমানে এটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৬-৪ কিলোমিটার। এটি ধীরে ধীরে উত্তর দিকে সরে যাচ্ছে। শনিবার ভোট ৫টা ৩০ মিনিটে পুরী থেকে প্রায় ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে দুর্বল হতে পারে বলেও মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি আরও উত্তর দিকে সরে যেতে পারে। তারপর উড়িশা উপকূল বরাবর উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে বা পুরীর কাছে পৌঁছাতে পারে।
ভূবনেশ্বর হাওয়া অফিসের বিজ্ঞানী উমাশঙ্কর দাস বলেছেন, জাওয়াদ পুরীর কাছে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময়টি এটির সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটার থেকে ৬০ কিলোমিটার। সঙ্গে বইবে তার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস বলেছে, গ্রীষ্মমণ্ডীয় ঘূর্ণিঝড় তাপমাত্রা কম থাকা ও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা অসামঞ্জস্য - এই কারণগুলি এই ঝড়ের তীব্রতা বাড়াতে বাধা তৈরি করেছিল। জাওয়াদ পুরীর কাছাকাছি পৌঁছানোর পর আরও দুর্বল হয়ে যাবে। ওড়িশা উপকূল বারবার উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর বলেও আশআ করা হচ্ছে।
জাতীয় আবহাওয়া অফিস বা মৌসম ভবন জানিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিতে বৃষ্টি হবে। শনি ও রবিবার দক্ষিণ উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ জেলাগুলির কিছু জায়গায় ভাবী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
AK-203 Rifles: ৫ লক্ষ বন্দুক তৈরি হবে আমেঠিতে, প্রতিরক্ষা মানচিত্রে ভারতের নতুন স্থান
Viral Video: কুকারে কফি তৈরি করে চমক, সোশ্যাল মিডিয়ায় বৃদ্ধ বিক্রেতার ঢালাও তারিফ