সংক্ষিপ্ত

ফের একবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি-র কথা উঠল।

কারণ হিন্দু ও মুসলমানের ডিএনএ এক।

বললেন বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়ন স্বামী।

অবশ্য সিএএ-র ক্ষেত্রে এক ডিএনএ-র কথা তিনি মানেননি।

 

দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির ইস্তাহারে স্থান পেয়েছে তিনটি কর্মসূচী - ৩৭০ ধারা বাতিল, রামমন্দির নির্মাণ এবং দেশব্যাপী অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু। সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায় ঘোষণার পরই প্রশ্ন উঠেছিল এবার কি তাহলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পালা? মাঝপথে সিএএ-এনআরসি এসে 'ইউসিসি' বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড-এর কথা শোনা যাচ্ছিল না। এবার 'হিন্দু-মুসলিম'এর ডিএনএ এক' বলে শিঘ্রই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আসার কথা জানালেন সুব্রমনিয়ন স্বামী।

বুধবার রাতে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া জেলায় 'স্বামী বিবেকানন্দ ব্যাখ্য়ানমালা' শীর্ষক একটি বক্তৃতা বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বিতর্কিত বিজেপি নেতা বলেন, মুসলমান ও হিন্দুদের ডিএনএ এক, যেমন ব্রাহ্মণ ও দলিতদের ডিএনএ-ও সমান। তাই মুসলমানদের জন্য আলাদা আইন ব্যবস্থা থাকতে পারে না। বিজেপি শিগগিরই ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) প্রবর্তন করবে। বিগত ৭০ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিয়েছে। সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারাও এই কথাই বলে।

দেওয়ানি বিধির ক্ষেত্রে মুসলমান ও হিন্দুদের ডিএনএ এক মনে হলেও, সিএএ ২০১৯-এর ক্ষেত্রে তিনি তা মানেননি। একই বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন-এ আপত্তি করার মতো কিছুই নেই। কংগ্রেস এবং মহাত্মা গান্ধীও সিএএ চেয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। ২০০৩ সালে মনমোহন সিং-ও সংসদে এই আইন পাসের বিষয়ে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু বিজেপি এটা করে দেখিয়েছে বলেই এখন তারা সিএএ-কে মেনে নিচ্ছে না বলেই তাঁর অভিমত।

একই সঙ্গে স্বামী দাবি করেন, পাকিস্তানের মুসলমানদের প্রতি এই আইন কোনওরকম অবিচার করেনি। কোনও অন্যায় নেই এই আইনে। তাঁর মতে, পাকিস্তানের মুসলমানরা ভারতে আসতে চান না বলেই মুসলমানদের এই আইনের আওতায় রাখা হয় না। তিনি বলেন 'কেউ আসতে না চাইলে তাকে তো আমরা তাদের জোর করতে পারি না'।