সংক্ষিপ্ত
- মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বন্ধ অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা
- সামরিক বিমান চলাচল করবে
- সিদ্ধান্ত অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রকের
- উড়ান পরিবেষা বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখিছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার গভীর রাত থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সমস্ত উড়ান পরিষেবা। বুধবার থেকে ভারতের আকাশে আর দেখা যাবে না যাত্রীবাহী বিমান চলাচল করতে। আগেই আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।এবার বন্ধ করে দেওয়া হল অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। কেন্দ্রের তরফে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিমান সংস্থা গুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটেই শেষ করতে হবে সমস্ত উড়ানের ওঠানামা। শুধুমাত্র মালবাহী বা কার্গো বিমান চলাচল করবে। সমস্ত রকম উড়ান পরিষেবা বন্ধ করতে আগেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুবঃ ম্যালেরিয়ার ওষুধে ৬ দিনেই করোনা নিরাময়, এখনও ধন্দে গবেষকরা
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় সফল চিন, সেই পথেই কী হাঁটবে ভারত
আরও পড়ুনঃ কোনও আলোচনা ছাড়াই ধ্বনী ভোটে পাস অর্থবিল, অনির্দিষ্টকাল মুলতবি লোকসভা
যত দিন যাচ্ছে ভারত করোনা সংক্রমণের ভয়াল রূপ ততই প্রকট হচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবারই আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলেন দূরপাল্লার ট্রেন চলাচাল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আন্তরাজ্য বাস পরিষেবাও। কোপ পড়েছিল লোকল ট্রেন সার্ভিসেও। সোমবার পর্যন্ত অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবাই শুধুমাত্র ভরসা ছিল যাতায়াতের। এবার সেখানেও কোপ পড়ল।
বাংলায় যাত্রীবাহী উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হোক। দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আগেই চিঠি লিখিছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা যুক্তি ছিল করোনাসংক্রমণ মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। তাই সরকার উড়ান পরিষেবা চালু রাখলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুব একটা সহজ হবে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পশ্চিমবঙ্গ প্রায় লকডাউন চলছে। তাই সেই পথে যাতে কোনও বাধা না আসে তাই অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হোক।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেই অবস্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোটা দেশের ১৯টি রাজ্য লকডাউনের পথে হেঁটেছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকর।