সংক্ষিপ্ত

আর্থিক তছরুপের মামলায় কংগ্রেসের ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিস সিল করে দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। সনিয়া গান্ধির বাড়ির চারপাশেও বজায় রাখা হয়েছে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বুধবার অস্থায়ীভাবে দিল্লির বাহাদুর শা জাফর মার্গে অবস্থিত কংগ্রেসের ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিস সিল করে দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, সংস্থার অনুমতি ছাড়া প্রাঙ্গণটি খোলা যাবে না। মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা এবং লখনউতে ন্যাশনাল হেরাল্ডের বেশ কয়েকটি স্থান এবং অফিসে অভিযান চালানোর পরের দিনই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এই কড়া পদক্ষেপ।

আর্থিক তছরুপের মামলায় বিগত কয়েকবছর ধরেই শিরোনামে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র ৷ কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অর্থ পাচারের তদন্ত চলাচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইতিমধ্যেই এই মামলার বিষয়ে কংগ্রেস প্রধান সনিয়া গান্ধি এবং তার ছেলে রাহুল গান্ধির বক্তব্য রেকর্ড করেছে। গত মাসে ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতিকে। সংস্থাটি রাহুলকে ৫ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, জুন মাসে ৫০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে প্রশ্নোত্তর পর্ব। 

ইডি কর্মকর্তারা বলেছেন যে ‘প্রমাণ সংরক্ষণ’ করার জন্য একটি অস্থায়ী সীলমোহর গড়া হয়েছিল যা মঙ্গলবার অভিযানের সময় অনুমোদিত প্রতিনিধির অনুপস্থিতির কারণে সংগ্রহ করা যায়নি। 

ইডি আধিকারিকদের মতে, ন্যাশনাল হেরাল্ড-সংযুক্ত লেনদেনের সাথে জড়িত সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার অভিযান চালানো হয়েছিল। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) ফৌজদারি ধারার অধীনে পরিচালিত অভিযানগুলির উদ্দেশ্য ছিল তহবিলের ট্রেল সংক্রান্ত অতিরিক্ত প্রমাণ সংগ্রহ করা।

সনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধি ইয়ং ইন্ডিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ার হোল্ডার, উভয়েরই ৩৮ শতাংশ শেয়ার এতে রয়েছে। গান্ধি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অভিযোগ করেছেন যে তাঁরা এখন ৯০.২৫ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করার অধিকার পেয়েছেন যা অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড কংগ্রেসের কাছে বকেয়া ছিল এবং ইয়াং ইন্ডিয়ান ফেরৎ দিয়েছে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা।

এক্ষেত্রে আরোপিত সব ধরনের অন্যায়ের কথা অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। দল এবং নেতারা দাবি করেছেন যে, অর্থ পাচারের কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না, কারণ ইয়াং ইন্ডিয়ান কম্পানি আইনের ২৫ তম ধারার অধীনে তৈরি একটি 'অলাভজনক' অর্থাৎ, নন-প্রফিটেবল কম্পানি। যদিও রাহুল তাঁর জবানবন্দির সময় ইডি কর্মকর্তাদের বলেছিলেন যে, তাঁর নিজের বা গান্ধি পরিবারের দ্বারা কোনও ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হয়নি।

ইডি হেরাল্ড হাউস সিল করে দেওয়ার পরে কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। সনিয়া গান্ধির বাড়ির চারপাশেও বজায় রাখা হয়েছে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা।  


আরও পড়ুন-
আজ ফের রাহুল গান্ধীকে তলব ইডি অফিসে, সোমবার টানা ১০ ঘণ্টা জেরা কংগ্রেস নেতাকে
ইডি অফিসে রাহুল গান্ধীকে জেরা আর্থিক তছরুপ মামলায়, বাইরে বিক্ষোভ কংগ্রেস নেতা কর্মীদের
ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলা, রাহুল-সনিয়াকে ইডি তলব করতেই বিরোধিতায় নামল কংগ্রেস