সংক্ষিপ্ত

আসন্ন মণিপুর নির্বাচনের (Manipur Eections 2022) পর্যালোচনা সভা করল ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। কোভিড মহামারির মধ্যে প্রথমবার থাকছে পোস্টাল ব্যালটের (Postal Balot) সুবিধা। 

বুধবার, আসন্ন মণিপুর নির্বাচনের (Manipur Eections 2022) প্রস্তুতির খোঁজখবর নিতে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করল ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। আর সেই বৈঠকে এই প্রথমবার অ্যাবসেন্টি ভোটার (Absenty Voter) অর্থাৎ অনুপস্থিত ভোটারদের জন্য নির্বাচনের সময় মনিপুরে পোস্টাল ব্যালট (Postal Balot) দানের সুবিধা দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওযা হল। অ্যাবসেন্টি ভোটারের মধ্যে ধরা হয়েছে, আশি উর্ধ্ব বয়স্ক নাগরিকদের, পিডব্লিউডি ভোটার এবং কোভিড-১৯ সন্দেহভাজন বা সংক্রামিত ব্যক্তিদের। 

পোস্টাল ব্য়ালট দানের ক্ষেত্রেও ভোটারের সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় থাকবে। প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ্ব করতে ভোট কর্মীদের সঙ্গে পোস্টাল ব্যালট সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি যাবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও। সেইসঙ্গে পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকর্ড করার জন্য থাকবেন একজন ভিডিওগ্রাফারও। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মণিপুরের রাজনৈতিক দল ও সরকারি আধিকারিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে, ইসিআই আরও জানিয়েছে, একটি ভোটদান কেন্দ্রে ভোটারদের সর্বোচ্চ সংখ্যা ১৫০০ থেকে কমিয়ে ১২৫০ করা হয়েছে।

নির্বাচনকে কোভিড-১৯ ভয়মুক্ত করতে প্রত্যেক ভোট কর্মীর সম্পূর্ণ টিকাকরণ নিশ্চিত করা হবে। বুথে বুথে স্যানিটাইজেসন এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়গুলি নিশ্চিত করা হবে। মণিপূরে টিকাকরণের মাত্রা বেশ কম, এই নিয়ে মুখ্য সচিবের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। 

এদিনের বৈঠকে কমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুশীল চন্দ্র এবং আরও দুই নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার এবং অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে। অন্যদিকে রাজ্যের পক্ষে ছিলেন, মুখ্য সচিব রাজেশ কুমার, ডিজিপি পি ডঞ্জেল, মণিপুরের মুখ্য নিরাবচনী আধিকারিক রাজেশ আগরওয়াল প্রমুখ। চলতি বছরের ১৯ মার্চ তারিখে ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভার মেয়াদ ফুরোবে। নির্বাচনকে দুর্নীতিমুক্ত, ভয়মুক্ত, ন্যায্য, অংশগ্রহণমূলক করে তোলার পাশাপাশি কোভিড-১৯ সেফ করা হবে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।  

একই সঙ্গে অর্থ, পেশি শক্তি, দলদাস রাজ্য প্রশাসন দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টায়, শূন্য সহনশীলতা নীতি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলির খরচ-খরচায় নজরদারি চালাতে একজন অর্থনৈতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। এছাাড়া আদর্শ আচরণ বিধি ভাঙলে যে কেউ কমিশনের ই-ভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন। তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ জানানোর জন্য একটি টোল ফ্রি ফোন নম্বরও রাখা হচ্ছে।