সংক্ষিপ্ত

জয়শঙ্কর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সাক্ষাতে, বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর তাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত শুভেচ্ছাবার্তা দেন।

সাম্প্রতিক সময়ে চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়চিল ভারতের প্রতিবেসিদের। এই ঘনিষ্ঠতা খুব একটা ভালো চোখে দেখেনি ভারত। এরপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভুটান, বাংলাদেশ সহ একাধিক প্রতিবেশির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে উদ্যোগী হয় নয়াদিল্লি। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এবার ভুটান ও বাংলাদেশ সফরে গেলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ২৮শে এপ্রিল বাংলাদেশ যান তিনি। ২৯শে এপ্রিল ভুটানে পৌঁছেছেন জয়শঙ্কর। 

বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করার ক্ষেত্রে তার বাংলাদেশ সফর ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। জয়শঙ্কর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সাক্ষাতে, বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর তাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত শুভেচ্ছাবার্তা দেন। তাকে এই বছরের জুলাই মাসে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। বিদেশমন্ত্রী টুইট করেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দুই নেতার পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী থেকে শক্তিশালীতর হচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক প্রতি বছর দৃঢ় হয়েছে এবং গত বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। মানুষে মানুষে সংযোগের উপর দৃষ্টি রেখে দুই দেশ ইদের পরপরই ক্রস বর্ডার বাস এবং রেলওয়ে পরিষেবা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের জন্য দুই দেশের উদ্যোগ যেমন বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুবর্ণ জয়ন্তী বৃত্তি নতুন দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে গভীর অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেয়।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে, বিদেশ মন্ত্রক প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “এটাও আমাদের জন্য সন্তোষজনক যে বাণিজ্য, দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পে ঋণ বিতরণ, ভ্রমণ পরিষেবা এবং বিনিয়োগ নতুন উচ্চতায় রয়েছে। যা কোভিডের সময় গতি হারিয়েছিল।"

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকও ফলপ্রসূ ছিল বলে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। দুই মন্ত্রী তাদের প্রতিবেশী অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন এবং দুই দেশের ভাগ করা ভিশন নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক টুইট করেছে, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করেছেন, সামগ্রিকভাবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়েছেন।”