সংক্ষিপ্ত

এফডিআই ইকুইটি ফ্লো বেড়েছে ১১২ শতাংশ, যা ভারতীয় অর্থনীতির জন্য সুখবর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

এফডিআই ইনফ্লো গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরের (current Financial Year) প্রথম চার মাসে ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে (FDI Inflows grow)। এফডিআই ইকুইটি ফ্লো (FDI equity inflows) বেড়েছে ১১২ শতাংশ, যা ভারতীয় অর্থনীতির জন্য সুখবর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

উল্লেখ্য ভারতে দুধরনের বিদেশী বিনিয়োগ হয়। একটি ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য সরকারের কোনও অনুমোদন লাগে না। অন্যক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি ছাড়া বিদেশী বিনিয়োগ করা যায় না। অন্যদিকে আবার প্রতিরক্ষা, ওষুধসহ প্রায় ১৭টি ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে সরকারি অনুমোদন ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ সম্ভবই নয়।

 

এফডিআই নীতি সংস্কার, বিনিয়োগের সুবিধাসমূহ এবং ব্যবসা সহজ করার ক্ষেত্রে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার ফলে দেশে এফডিআই ইনফ্লো বেড়েছে। ভারতের সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলি বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের পছন্দ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই কারণেই ভারত বিনিয়োগের অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। 

বর্তমান অর্থবর্ষের অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথম চার মাসে ভারত মোট ২৭.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এফডিআই ফ্লো আনতে পেরেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পরিমাণ এফডিআই গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এফডিআই ইনফ্লোর পরিমাণ ১৬.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম চার মাসে FDI ইকুইটি প্রবাহ ১১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের বছর ৯.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তুলনায় চলতি অর্থবর্ষে FDI ইকুইটি প্রবাহের পরিমাণ ২০.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

চলতি অর্থবর্ষের প্রথম চার মাসে 'অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি' শীর্ষ বিনিয়োগ খাত হিসেবে উঠে এসেছে। মোট এফডিআই ইক্যুইটি ইনফ্লোর ২৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এই খাতে। এর পরেই রয়েছে কম্পিউটার সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার (১৮ শতাংশ) এবং পরিষেবা খাত (১০ শতাংশ)।

কর্ণাটকে বেশিরভাগ এফডিআই ইকুইটি ইনফ্লো (৮৭ শতাংশ) রিপোর্ট করা হয়। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মোট এফডিআই ইকুইটি প্রবাহের ২৩ শতাংশ রয়েছে মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে দিল্লি (১২%)।