সংক্ষিপ্ত

পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও তামিল নাডুতে বিধানসভা নির্বাচন দেখেছে গোটা দেশ। তিনটি রাজ্যেই অবিজেপি শক্তি ক্ষমতায় এসেছে।

রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ২০২১। বিধানসভা নির্বাচনের ঝড় উঠেছিল তিন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল ও তামিল নাডুতে বিধানসভা নির্বাচন দেখেছে গোটা দেশ। তিনটি রাজ্যেই অবিজেপি শক্তি ক্ষমতায় এসেছে। তবে যদি কোনও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে এই বছরটি দেশের রাজনীতির ইতিহাসে মাইলফলক, তবে তাদের জন্য আরও বড় ধামাকা নিয়ে আসতে চলেছে ২০২২ সাল (2022)। কারণ এই বছরে পাঁচটি রাজ্যে(Five states) বিধানসভা নির্বাচন (Assembly elections in 2022) রয়েছে। ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে বিজেপি(BJP) ও কংগ্রেসের (Congress)। বদলে যেতে পারে অনেক নেতার রাজনৈতিক ভাগ্য। 

২০২২ সালে পাঁচটি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করবে। এগুলি হল উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh), উত্তরাখণ্ড( Uttarakhand), পঞ্জাব(Punjab), গোয়া(Goa) এবং মণিপুর(Manipur)। 

উত্তরপ্রদেশ

সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি ভাবে লড়াই হবে উত্তরপ্রদেশে। আসন্ন বিধানসভা ভোটকে(assembly polls) পাখির চোখ করে এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ছোট বড় সব দলই। চলছে নির্বাচনী ঘুঁটি সাজানোর প্রক্রিয়া। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একটি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের হাত ধরে স্বস্তিজনক অবস্থানে থেকে নিজের অফিস ধরে রাখতে প্রস্তুত।

অন্যদিকে, অখিলেশ যাদবের অধীনে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে সমাজবাদী পার্টি। ২০১৭ সালের মতো বিজেপির অনেকগুলি আসনে জয়ের আশাকে ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাখছে এই দল। তবে সামনের পথ খুব একটা সহজ নয়। 

মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) এবং কংগ্রেস আবারও অপমানজনক পরাজয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আসাদউদ্দিন ওয়াইসির অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) দেশের বৃহত্তম রাজ্যে নিজের ছাপ রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। পদ্ম কি আবার ফুটবে নাকি সাইকেল গতি বাড়িয়ে হাতিকে পিছনে ফেলবে থেকে ধাক্কা দিয়ে মাড়িয়ে দেবে? শুধুমাত্র সময় বলে দেবে এর উত্তর। 

উত্তরাখণ্ড

উত্তরভারতের এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে বলেই ভোট সমীক্ষা বলছে। এই রাজ্যে আম আদমি পার্টি (এএপি) এবং কংগ্রেসের মধ্যে অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি বা প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট ব্যাঙ্ক বিভক্ত বলে মনে হচ্ছে, যা সিংহাসনে ফিরে আসার জন্য গেরুয়া ব্রিগেডকে এগিয়ে দেবে। কুমায়ুন এবং গাড়ওয়াল অঞ্চলে বিজেপির হাওয়ার গতি বেশি। তবে তরাই অঞ্চলে লিড করছে কংগ্রেস। যাইহোক, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে সর্বাধিক পছন্দের প্রার্থী বলে মনে হচ্ছে। 

পঞ্জাব

ত্রিশঙ্কু বিধানসভা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে পঞ্জাব। রাজনৈতিক সমীকরণ অন্তত তেমনই বলছে। শাসক দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একদিকে যেমন বইছে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া, তেমনই একক দল হিসেবে রাজ্যে উঠে আসছে আম আদমি পার্টি। যদিও কেন্দ্রের কৃষি বিল বাতিলের সিদ্ধান্ত কিছুটা দেরীতে হলেও পালে হাওয়া দিয়েছে বিজেপির। তবে তাতে রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরা হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 

গোয়া

গোয়াতে, বিজেপি প্রায় ২০ শতাংশ আসন নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে। দ্বিতীয় স্থানের জন্য আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ভোট ভাগের নিরিখে, বিজেপি ৩০ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে রয়েছে, যেখানে AAP ২৪.৪% এবং কংগ্রেস ১৯.৭% ভোট পেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে গোয়ায় পা রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেরাজ্যে জমি শক্ত করার লড়াইয়ে নেমেছে তৃণমূল। 

মণিপুর

মণিপুরে অবশ্য বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোর টক্কর দেখতে চলেছে দেশ। যদিও বিজেপি প্রায় ৩০টি আসন জিতবে বলে আশা করা হচ্ছে, কংগ্রেস প্রায় ২৮টি আসন পেতে পারে।