সংক্ষিপ্ত
দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রায় আধ ঘণ্টা এই দুটি অ্যাপ-এর মাধ্যমে খাবার অর্ডার করলে পারেনি গ্রাহকরা। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গ্রাহকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন তাঁরা অ্যাপ- দুটির মধ্যে ঢুকতে পেরেছিলেন।
চরম বিভ্রাটে ফুড ডেলিভারি অ্যাপ জোমাটো আর সুইগি। এই দুটি অ্যাপ-ই বুধবার দেশব্যাপী বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়। দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রায় আধ ঘণ্টা এই দুটি অ্যাপ-এর মাধ্যমে খাবার অর্ডার করলে পারেনি গ্রাহকরা। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গ্রাহকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন তাঁরা অ্যাপ- দুটির মধ্যে ঢুকতে পেরেছিলেন। কিন্তু আর্ডার দিতে পারছিলেন না। তারা আরও জানিয়েছে, মেনু বা খাবারের তালিকা ব্রাউজ করতেও পারেননি অনেকে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগের ঝড় ওঠে।
জোমাটোর ক্ষেত্রে প্রায় ৮৫ শতাংশ ব্যবহারকারীর অ্যাপে সমস্যা হয়েছিল। ১২ শতাংশ সমস্যা ছিল ওয়েবসাইটে আর তিন শতাংশ লগইন সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। জানিয়েছেন ডাউনডিকেটটর। অন্যদিকে ডাউনডিকেটটরের মতে সুইগির ক্ষেত্রে ৪৪ শাতংশ ব্যবহারকারীর সমস্যা ছিল অ্যাপে। ১১ শতাংশ ওয়েবসাইটে সমস্যা ছিল। আর এক শতাংশ সমস্যা ছিল অর্ডার ট্র্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে। তবে দুটি অ্যাপের বিভ্রাট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেমির ছড়াছড়ি শুরু হয়ে যায় অল্পসময়ের মধ্যেই। অনেকেই মজা করতে শুরু করেন। অনেকেই অবার মজা করে বলেন সুইগি আর জোমাটো দুই প্রতিদ্বন্দ্বী একই সময় প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়েছে। তবে অনেকেই বলেছেন দুপুরে দুটি সংস্থা খাবার খাওয়ার জন্য বিরতি নিয়েছে।
সূত্রের খবর অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস স্নাগের কারণে এই বিভ্রাট ঘটেছিল। দুটি অ্যাপ-ই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভর করে। দুটি সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এটি একটি অস্থায়ী সমস্যা। সমস্যা সমাধানের জন্য দুটি সংস্থাই কাজ করছে।
জোমাটো আর সুইগি- এই দুটির মূল্য প্রায় ১০ বিলিয়ন। ভারতের অনলাইন খাবার সরবরাহে এই দুটি অ্যাপ-ই বর্তমানে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বারতের প্রতিযোগিতা কমিশন সোমবার বলেছেন যে তারা দুটি সংস্থার অ্যাপগুলি নিরক্ষেপ কিনা তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। সেইজন্য দুটি সংস্থাকেই তদন্তের সামনে দাঁড়াতে হতে পারে। ন্যাশানাল রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া একচেটিয়া ঠিকাদারদের অগ্রাধিকার দিয়ে প্ল্যাটফর্মের নিরপেক্ষতা লঙ্ঘনের জন্য কোম্পানিগুলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কয়েক মাস পরেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।