সংক্ষিপ্ত
- পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও চার রাজ্যে শুরু হয়েছে ভোট গণনা
- প্রাথমিক প্রবণতায় দেখা যাচ্ছে অসমে জোর লড়াই চলছে
- কেরলে দারুণ শুরু করেছে বামেরা
- তামিলনাড়ুতে পালাবদলের ইঙ্গিত
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের চার রাজ্যের বিধানসভার ভোট গণনা চলছে। সকাল ৮টে থেকে শুরু হয়েছে গণনা। নিয়ম মেনেই প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনার কাজ শুরু হয়। তারপর শুরু হয়েছে ইভিএম গণনার কাজ। প্রাথমিক প্রবণতায় দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষার কতা মিলিয়েই কেরলে এগিয়ে বামেদের এলডিএফ জোট। অসমে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। তামিলনাড়ুতে পালাবদলের ইঙ্গিত, ভাল শুরু করেছে কংগ্রেস, ডিএমকে জোটের ইউপিএ। পদুচেরিতে ভাল শুরু বিজেপির।
অসম (১২৬ আসন)
এসেছে ২৫টি আসনের ফল। বিজেপি জোট এগিয়ে ১৯টি আসনে, কংগ্রেস ও তার শরিকদলগুলি এগিয়ে ৬টি আসনে।
কেরল (১৪০ আসন)
এসেছে ১০টি আসনের ফলের প্রাথমিক প্রবণতা। বামেদের জোট এলডিএফ এগিয়ে ৮টিতে। কংগ্রেসের জোট ইডিএফ এগিয়ে ২টিতে।
তামিলনাড়ু (২৩৪ আসনে)
এসেছে ৪৭টি আসনের ফলের প্রবণতা। ডিএমকে, কংগ্রেস জোটের ইউপিএ এগিয়ে ৩৪টিতে, এআইএডিএমকে এগিয়ে ১২টি-তে। অন্যান্যরা এগিয়ে একটি আসনে।
পদুচেরি ( ৩০টি আসন)
পদুচেরিতে ৬টি আসনের ফলের প্রবণতা এসেছে। বিজেপি জোট এগিয়ে ৫টি আসনে, কংগ্রেস জোট এগিয়ে একটিতে।
আরও পড়ুন: বাংলা বাদে চার রাজ্যের ফল থেকে বিজেপি, কংগ্রেসের প্রত্যাশা
সকাল ৮টা থেকে শুরু অসম বিধানসভার ফল ঘোষণা। করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে অসমের গণনা কেন্দ্রগুলিতে বিশেষ নজর। বিজেপি-র কাছে চ্যালেঞ্জ সরকার ধরে রাখার। ২০১৬ সালে প্রথমবার অসমে সরকার গড়ে বিজেপি। ২০১৯ লোকসভাতেও ফল ভালই হয় বিজেপি-র। এবার নির্বাচনের আগে মনে করা হচ্ছিল বিজেপি অনেকটা এগিয়ে থেকে শুরু করবে। কিন্তু দিন যত এগিয়েছে, নির্বাচন যত কাছে এগিয়েছিল মনে ততই কংগ্রেস লড়াইয়ে ফিরেছিল। হেমন্ত বিশ্বশর্মার সাংগঠনিক দক্ষতা, আর মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিই বিজেপি-র সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কংগ্রেস আবার প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া, সিএএ-এনআরসি নিয়ে রাজ্যের মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে জোর প্রচার চালিয়েছে।
আরও পড়ুন:
পশ্চিমবঙ্গ বাদে যে চার রাজ্যে ভোট হচ্ছে সেই চার রাজ্যেই একটা সময় কংগ্রেসের দাপট ছিল। ২০১৬ ভোটের আগে পর্যন্ত অসমে কার্যত কংগ্রেসের একাধিপত্য ছিল। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা তরুণ গগৈ পরপর তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে ২০১৬ সালে হারটার পর অসমে দুর্বল হয় হাত শিবির। এবার সেখানে ক্ষমতায় ফেরা বড় চ্যালেঞ্জ। শরিক দলগুলির দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস।
কেরলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতা পরিবর্তন হয়, এবার সেইদিক থেকে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরার কথা। ২০১৯ লোকসভায় গোটা দেশে হতাশ করলেও কেরলে চমকপ্রদ ফল করে কংগ্রেস। তবে বুথফেরত সমীক্ষায় কিন্তু অনেকটা পিছিয়ে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র শরিক হিসেবে ক্ষমতায় ফিরতে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস। পুদুচেরি নিয়ে অবশ্য আশা কম কংগ্রেসের। দিনের শেষে এই চার রাজ্যে তিনটে জিতলেই বড় জয় মনে করবে কংগ্রেস।