সংক্ষিপ্ত

এই বইতে শিবশঙ্কর দাবি করেছেন, কেরলের সোনাপাচারকাণ্ডে তাঁকেও নিশানা করা হয়েছিল। পাশাপাশি তাঁর দাবি এই কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তাঁকে তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি অ্যাডিশনার সলিসিটার জেলানের মন্তব্যেরও তীব্র বিরোধিতা করেছেন। অন্যদিকে স্বপ্না সুরেশকে নিয়োগ কররা জন্য তাঁকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। 

কলম ধরেছেন সিনিয়ন আইএএস অফিসার এম শিবাশঙ্কর (IAS M Sivashankar)। লিখেছেন আত্মজীবনে। মালায়ালম ভাষায় লেখা তাঁর বইয়ের বাংলা করলে দাঁড়ায় 'অশ্বথামা শুধুমাত্র একটি হাতি' (Ashwatthama is just an elecphant)। তাঁর লেখা এই বইতে রীতিমত গুরুত্ব পেয়েছে কেরলের সোনা পাচারের কথা। সম্প্রতি কেরল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোল্ড সিমাগলিংকে (Gold smuggling case) কেন্দ্র করে। সেই সোনা পাচারের সঙ্গে নাম জড়িয়ে গিয়েছিল কেরলের (Kerala) মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়েনের কার্যালয়েরও। যাইহোক নতুন এই বইতে গুরুত্ব পেয়েছেন সেই সময়ের কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর নানা সমস্যার কথাও। 

এই বইতে শিবশঙ্কর দাবি করেছেন, কেরলের সোনাপাচারকাণ্ডে তাঁকেও নিশানা করা হয়েছিল। পাশাপাশি তাঁর দাবি এই কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তাঁকে তুলে ধরার একটি প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি অ্যাডিশনার সলিসিটার জেলানের মন্তব্যেরও তীব্র বিরোধিতা করেছেন। অন্যদিকে স্বপ্না সুরেশকে নিয়োগ কররা জন্য তাঁকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। যদিও স্বপ্না সুরেশকে কনসালটেন্সি এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল। বইতেই তিনি স্পষ্ট করেছে স্বপ্না সুরেশের সেইসব প্রস্তাবগুলি তিনি নাকোচ করে দিয়েছিলেন যেগুলি কূটনৈতিকক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। 

সোনাপাচারকাণ্ডের জন্য শিবশঙ্করকে প্রায় তিন মাস জেলে থাকতে হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে তিরুব্বতপুরমে  ৩০ কেজি সোনা পাচারে তিনি সহযোগিতা করেছিলেন- তেমনই অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে প্রায় ১৪.৮২কোটি টাকার সোনা পাচার করা হয়েছিল। 

শিবশঙ্কর ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়েনের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। সেই সময়ই তিনি স্বপ্নাসুরেশের নাম প্রস্তাব করেন বলে অভিযোগ। ২০২০ সালে স্বপ্না সুরেশ গ্রেফতার হওয়ার পরই সামনে আসে শিবশঙ্কের নাম।