সংক্ষিপ্ত

এত পুরোন একটিউ সেতু পুনরায় চালু করার আগে কেন তার ফিটনেস সঠিকভাবে যাচাই করা হল না এবং ঠিক কোন চুক্তিতে এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গোটা ঘটনার জন্য কে দায়ী সেবিষয় বিশদ বিবরণ চাইল আদালত।

 

'পুরসভার গাফিলতিতে ১৩৫ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছে,'মোরবী ব্রিজ বিপর্যয়কাণ্ডে এবার গুজরাট হাই কোর্টের তিরস্কারের মুখে রাজ্য। বারবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও পুরসভার কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কোনও জবাব না মেলায় এবার সরাসরি জবাব চাইল আদালত। ১৫০ বছরেরও পুরোন সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে ত্রুটির কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৩০-এরও বেশি মানুষের। এবার গোটা বিষয়ের কইফিয়ত চাইল আদালত। এত পুরোন একটিউ সেতু পুনরায় চালু করার আগে কেন তার ফিটনেস সঠিকভাবে যাচাই করা হল না এবং ঠিক কোন চুক্তিতে এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গোটা ঘটনার জন্য কে দায়ী সেবিষয় বিশদ বিবরণ চাইল আদালত।

এখানেই শেষ নয় ব্রিজ বিপর্যয় নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ছে গুজরাট সরকার। কেন কোনও পাবলিক ব্রিজ মেরামতের কাজের টেন্ডার করা হলো না? কেন দরপত্র করা হল না। কোনও টেন্ডার ছাড়াই কীভাবে এই চুক্তি দেওইয়া হল সে বিষয়ও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার। শুধু তাই নয় বিচারপতি আরও জানতে চান,'এত গুরুত্বপূর্ণ কাজ কি কোনও টেন্ডার ছাড়াই অজন্তা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল?' তাছাড়া মাত্র দেড় পৃষ্ঠার চুক্তিতে কীভাবে এই এত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্পন্ন হল তাও জানতে চান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি আশুতোষ জে শাস্ত্রী কমপক্ষে ছয়টি বিভাগের ব্রিজ বিপর্যয় সংক্রান্ত জবাব চেয়ে পাঠিয়েছেন।

একটি ঘরি প্রস্তুতকারী সংস্থা ওরেভার সঙ্গে মোরবীর শতাব্দীপ্রাচীন এই সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১৫ বছরের চুক্তি করা হয়। চুক্তিমতই এগোয় সেতু মেরামতের কাজ। দীর্ঘ রক্ষণাবেক্ষণের পর ২৪ অক্টোবর ওরেভার চেয়ারম্যান জয়সুখ পটেল জানান, সেতুটির সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই ব্রিজ। এই ঘটনার তিন দিনের মাথায়ই ভেঙ্গে পড়ে ব্রিটিশ আমলের এই সেতু। মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১৩০ জনের, আহত শতাধিক।

এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এবার তদন্ত সূত্রেই উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি সেতু সংস্কারে বরাদ্দ ২ কোটি টাকার মাত্র ১২ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের আরও দাবি, যে সংস্থাকে ঠিকা দেওয়া হয়েছিল তাদেরও সেতুর প্রযুক্তিগত বিষয়ে সে ভাবে জ্ঞান নেই। তাঁরা আরও দাবি করেন, মজবুত করার বদলে কেবল রং করা হয়েছিল সেতুটি।

মোরবী সেতু বিপর্যয় প্রথম থেকেই কাঠগরায় সেতু সংস্কারকারী সংস্থা ওরেভা। একটি ঘরি প্রস্তুতকারী সংস্থাকে কেন সেতু সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই বিষয় প্রশ্ন তুলে আগেই সরব হয়েছিল বিরোধী দলগুলি। এবার আর্থিক তছরূপের অভিযোগও উঠল এই সংস্থার বিরুদ্ধে। তদন্তকারীদের দাবি, মোট বরাদ্দ টাকার মাত্র সামান্য কিছু অংশই খরচ করা হয়েছে। এমন কি সেতু মজবুত করার বদলে তা কেবল রং করা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে কি মাচ্ছু নদীর উপর সেতু বিপর্যয়ের মূল কারণ সংস্কারে গাফিলতিই?

 

আরও পড়ুন - 

শ্রদ্ধার দেহ ফ্রিজে পচছে তখনও ফ্ল্যাটে নতুন বান্ধবীর আসা-যাওয়া , আফতাবকে নিয়ে দেহের অংশ খুঁজছে পুলিশ

বড় নাশকতার হাত থেকে রক্ষা, আইইডি টাইমার-ডেটোনেটর বোমা সহ পাকিস্তানি ড্রোনের অনুপ্রবেশ জম্মুতে

কে দখল করবে গুজরাটের এসসি-এসটি ভোটব্যাঙ্ক, জোর লড়াইয়ে বিজেপি কংগ্রেস আপ