সংক্ষিপ্ত

প্রথমে পঞ্জাবের (Punjab) মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির (Charanjit Singh Channi) পর, বিজেপিও (BJP) ভারতের নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India) পাঞ্জাবের নির্বাচন (Punjab Elections 2022) পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালো। কেন কংগ্রেস (Congress) ও বিজেপির (BJP) সুরে সুর মিলে গেল? 
 

কোনও বিষয়ে কংগ্রেস (Congress) ও বিজেপির (BJP) সুরে সুর মিলে যাচ্ছে, এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। এই ক্ষেত্রে তেমনটাই ঘটেছে। পঞ্জাবের (Punjab) কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির (Charanjit Singh Channi) পর, বিজেপির পক্ষ থেকেও ভারতের নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India) পাঞ্জাবে নির্বাচন (Punjab Elections 2022) কয়েকটা দিন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হল। না করোনাভাইরাস মহামারি (Coronavirus Pandemic) নয়, দুই পক্ষের আবেদনেরই একটাই কারণ, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাস জয়ন্তী (Guru Ravidas Jayanti)।

এর আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন এক দফাতেই অনুষ্ঠিত হবে, ১৪ ফেব্রুয়ারি। ফলাফল প্রকাশ করা হবে ১০ মার্চ। কিন্তু, শনিবার, মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি, নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দিয়ে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন কমপক্ষে ছয় দিন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। ওই চিঠিতে তিনি জানান,  ১৬ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাস জয়ন্তী। সেই উপলক্ষ্যে প্রচুর ভক্ত উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে (Varanasi, Uttar Pradesh) যান। তিনি দাবি করেন, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রায় ২০ লক্ষ ভক্ত বারাণসীতে যেতে পারেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হলে, এই ভক্তরা তাদের মতদান করতে পারবেন না। চান্নি আরও জানান, দলিত সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দল বিষয়টি তাঁর নজরে এনেছেন।

রবিবার, বিজেপি দলের পক্ষ থেকেও, গুরু রবিদাস জয়ন্তীর বিষয়টি বিবেচনা করে, পঞ্জাবের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। দুই প্রধান দলের আবেদনের পর, নির্বাচন কমিশন এখন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার। তবে, নির্বাচনে যত বেশি সম্ভব মানুষের মতদান নিশ্চিত করাটাই তাদের লক্ষ্য। কাজেই, পঞ্জাবের নির্বাচন শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

এক মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে, সির গোবর্ধনপুর (Seer Goverdhanpur) নামে বারানসীর অন্তর্গত এক গ্রামে জন্মেছিলেন গুরু রবিদাস (Guru Ravidas)। কিংবদন্তি অনুসারে তিনি পূর্ব জন্মে ব্রাহ্মণ ছিলেন। মৃত্যুর সময় এক চামার বর্ণের মহিলাকে দেখে প্রার্থনা করেছিলেন যাতে সেই সুন্দরী মহিলা পরবর্তী জীবনে তাঁর মা হন। মৃত্যুর পর সেই নারীর গর্ভ থেকেই তিনি গুরু রবিদাস রূপে পুনর্জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একাধারে ছিলেন আধ্যাত্মিক গুরু আবার সমাজ সংস্কারকও। তিনি সন্ত কবিরের সমসাময়িক ছিলেন। জাতি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করেছিলেন। তাঁর জন্মদিনে, সারা দেশ থেকে রবিদাসিয়া ধর্মের মানুষ বারানসীতে তাঁর জন্মস্থানে তীর্থ করতে আসেন। ভক্তরা বারানসীর পবিত্র গঙ্গা নদীতে ডুব দেন।