সংক্ষিপ্ত
অশ্লীল ভিডিও দেখতে পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটে ঢুকে নিজেরই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও খুঁজে পেলেন বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক যুবক। কী বলছে কর্নাটকের (Karnataka) সাইবার, ইকোনমিক অ্যান্ড নারকোটিক্স ক্রাইম (Cyber, Economic and Narcotics Crime) শাখার পুলিশ?
পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটে কখনও ঢোকেনি বর্তমানে এমন মানুষ বিরল। তবে, এই পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট ঘাঁটতে গিয়েই জীবনের সবথেকে বড় ধাক্কাটা খেলেন বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক যুবক। অশ্লীল ভিডিও দেখে যৌন উত্তেজনার স্বাদ নিতে বসে, যুবক দেখেছিলেন, প্রেমিকার সঙ্গে তাঁর নিজেরই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের এক ব্যক্তিগত ভিডিও জ্বলজ্বল করছে ওই ওয়েবসাইটে। শুধু ওই একটিতে নয়, একের পর এক পর্ন ওয়েবসাইটে তিনি ওই ভিডিও খুঁজে পাওয়ার পরই তিনি এই বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। কীকরে ঘটল এই ঘটনা, পুলিশের মতে এর পিছনে আছে একটি হোটেল, যেখানে দিন কয়েক আগে প্রেমিকাকে নিয়ে রাত কাটিয়েছিলেন অভিযোগকারী যুবক।
কর্নাটক (Karnataka) রাজ্যের সাইবার, ইকোনমিক অ্যান্ড নারকোটিক্স ক্রাইম (Cyber, Economic and Narcotics Crime) বা সিইএন শাখার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারীর বয়স ২৫ বছর। তিনি একটি বিপিও সেন্টারের কর্মচারী, বেঙ্গালুরুর অস্টিন টাউন (Austin Town) এলাকার বাসিন্দা। গত ২১ জানুয়ারি তিনি বেশ কয়েকটি পর্ণ ওয়েবসাইটে তাঁর ও তাঁর প্রেমিকার ওই ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও দেখতে পেয়েছিলেন।
পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ভিডিওটি প্রথমবার দেখে তিনি চমকে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর ও তাঁর প্রেমিকা - দুজনেই মুখ ঝাপসা করা ছিল। তাই তিনি প্রথমে মনে করেছিলেন, হয়তো তাঁর ভুল মনে হচ্ছে। তবে, এরপরই তাঁর চোখে পড়েছিল প্রেমিকার বুকে থাকা জন্ম চিহ্ন-সহ আরও কিছু শারীরিক বৈশিষ্ট্য। সেগুলি দেখে তিনি নিশ্চিত হন, ভিডিওটিতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা আর কেউ নন, তিনি নিজে এবং তাঁর প্রেমিকা। এরপরই, গত ২৪ জানুয়ারি, প্রেমিকার সঙ্গে পরামর্শ করে, তিনি এই বিষয়ে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেন।
কিন্তু, কীভাবে পর্ন সাইটে এল ওই যুবক ও তাঁর প্রেমিকার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও? তাঁদের মধ্যে কেউ কি সেই ভিডিও রেকর্ড করেছিলেন? টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের কাছে ওই যুবক অভিযোগ করেছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে বেঙ্গালুরু শহরের একটি হোটেলে রাত কাটিয়েছিলেন। হোটেলে থাকার সময়, দুর্বৃত্তরা কোনওভাবে তাঁদের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলি ক্যামেরা-বন্দী করেছে বলে মনে করছেন অভিযোগকারী। তাঁর মতে, ওই অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরাই পর্ন সাইটগুলিতে ভিডিওটি আপলোড করেছে।
তবে, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে কিছু অসঙ্গতি উঠে এসেছে। তাদের দাবি, ভিডিওটি বিভিন্ন কোন থেকে রেকর্ড করা হয়েছে। কাজেই, ভিডিওটি গোপনে শ্যুট করা হয়েছে, এটা তারা মানছে না। আপাতত, এই বিষয়ে ওই যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতেই অজ্ঞাতনামা অপরাধীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ওই হোটেলের কি ভূমকা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগকারীরাও পুরোপুরি পুলিশের সন্দেহের বাইরে নেই। প্রসঙ্গত, কোভিড-লকডাউনের (COVID-19 Lockdown) সময় বহু যুবক যুবতিই কাজ হারিয়েছেন। তাদের এই অর্থনৈতিক চাপের সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন পর্ন চক্র। ভারতের বিভিন্ন শহরেই গত কয়েক মাসে এরকম বেশ কয়েকটি পর্ন চক্রের সন্ধান মিলেছে।