সংক্ষিপ্ত

রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাইডেন আলোচনা। ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থানের ব্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। এই বৈঠকেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থানের কারণ জানিয়েছেন। পাশাপাশি যুদ্ধের অতিস্থিতিশীল প্রভাবগুলি নিয়েও তিনি আলোচনা করেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুচায় নিরিহ সাধারণ ইউক্রেকীয় নাগরিকদের হত্যার তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনায় মাধ্যমে শান্তি স্থাপনের ওপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন। দুই দেশের নেতাদের আলোচনার মাধ্যমে শান্তি স্থাপনের উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছে ভারত এখনও বিশ্বাস করে আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধান সম্ভব। 

যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। সেখানে ভারত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাশিয়ার থেকে কমদামে তেল ও গ্যাস কিনছে। যা মার্কিন একাধিক নেতা মেনে নিতে পারেননি। এদিনও বাইডেন ভারতে নিজেদের পক্ষে টানার একটা প্রচ্ছন্ন চেষ্টা করেন। 

তবে এদিন বাইডেন ইউক্রেনের বাসিন্দাদের জন্য ভারতের মানবিক সাহায্যের প্রশংসা করেছেন ও সমর্থন জানিয়েছেন। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন ভারত বুচার গণহত্যার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। 

এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মনে করিয়েদেন তাঁর মার্কিন সফরের সময় বাইডেন দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে উৎসহ প্রকাশ করেছিলেন। পাশাপাশি দুই দেশের যৌথ উদ্যোগ ও অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার ওপর জোর দিয়েছিলেন তিনি। তিনি এর আগে বলেছিলেন ভারতের চাহিদা রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের সঙ্গে  সুসম্পর্ক রেখে চলা। আর সেই জন্যই ভারত দুই দেশের সমস্যা মেটাতে আলোচনার ওপরই জোর দিয়েছে। 

বুচা- এই শহরে আগেই রাশিয়ান সেনা বাহিনী কয়েক হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। বুচা শহরে রুশ বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা লীলা চালিয়েছে। সাধারণ নিরস্ত্র মানুষকে এই এলাকায় যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই নয় বলেও মন্তব্য করেন ইউক্রেনের প্রসিকিউটর। তিনি বলেন ম্যানহোলের ভিতর থেকেও উদ্ধার হয়েছে নিথর দেহ। বোমার আঘাতে যাদের মৃত্যু হয়নি তাদের হাত পা বেঁধে রুশ সেনারা হত্যা করেছে । রাষ্ট্রসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইউক্রেনে এখনও পর্যন্ত ৪ হাজার ২৩২ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। 

রবিবার সকালে উত্তর-পূর্ব খারকিভে বোমা হামলায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গভর্নর ওলেগ সিনেগুভব। তিনি বলেছেন, আগেই এই শহরের দক্ষিণ-পূর্বে বোমার হামলায় একটি শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে জয় হাসিল করতে না পেরে রুশ বাহিনী এবার টার্গেট করছে দেশের সাধারণ মানুষকে।