সংক্ষিপ্ত

কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন মালিক বিজয় মালিয়া, যিনি পাঁচ বছর ধরে ব্রিটেনে বসবাস করছেন, আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলেছেন, 'আমি স্পষ্টতই হতাশ। এর বাইরে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে আমার আর কিছু বলার নেই।' 

আদালত অবমাননার দায়ে সোমবার পলাতক ব্যবসায়ী বিজয় মালিয়াকে চার মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর সাথে, আদালত কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে পলাতক ব্যবসায়ীর উপস্থিতি যেন নিশ্চিত করা হয়, তা দেখতে। ২০১৬ সাল থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন লিকার ব্যারন। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে বিজয় মালিয়া তার কাজের জন্য কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেননি বা তার আচরণের জন্য ক্ষমা চাননি। আদালত বলেছেন, আইনের শাসন জারি রাখতে পর্যাপ্ত শাস্তি দিতে হবে। 

সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত যে রায় দিয়েছে, তা তিনি হতাশ বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন কর্ণধার মালিয়া। তিনি বলেন তিনি আদালতের সিদ্ধান্তে রীতিমত হতাশ। 

আদালতের রায়ে হতাশা 

কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন মালিক বিজয় মালিয়া, যিনি পাঁচ বছর ধরে ব্রিটেনে বসবাস করছেন, আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলেছেন, 'আমি স্পষ্টতই হতাশ। এর বাইরে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে আমার আর কিছু বলার নেই।' বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মালিয়াকে দু হাজার টাকা জরিমানাও করেছে। উল্লেখ্য, বিজয় মালিয়াকে ২০১৭ সালের ৯ই মে আদালত অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

বেঞ্চ বলেছে যে মালিয়ার উপর আরোপিত দু হাজার টাকা জরিমানা চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের রেজিস্ট্রিতে জমা দিতে হবে এবং অর্থ জমা দেওয়ার পরে এটি সুপ্রিম কোর্টের আইনি পরিষেবা কমিটিতে স্থানান্তর করা উচিত।

আদালতের আদেশ অবমাননা

সুপ্রিম কোর্ট ২০২০ সালেই ২০১৭ সালের রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য মালিয়ার দায়ের করা রিভিউ পিটিশন খারিজ করেছিল। আদালত মালিয়াকে আদালতের আদেশ অমান্য করে তার সন্তানদের অ্যাকাউন্টে ৪০ মিলিয়ন ডলার পাঠানোর জন্য অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। আদালত অবমাননা আইন, ১৯৭১ অনুসারে, আদালত অবমাননার জন্য একটি মেয়াদে সাধারণ কারাদণ্ড হতে পারে যা ছয় মাস পর্যন্ত বাড়তে পারে। অথবা দু হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় শাস্তি জারি হতে পারে। মালিয়ার বিরুদ্ধে নয় হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।

অনেক দিন ধরেই ঋণ খেলাপির অভিযোগ তুলে বিজয় মালিয়াকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারজন্য ব্রিটিশ আদালতে চলছে আইনি লড়াই। ২০১৬ সালে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপির অভিযোগ মাথায় নিয়ে রাতারাতি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় বিজয় মালিয়া। বর্তমানে সে রয়েছে ব্রিটেনে। তবে ব্রিটেন আদালত গত বছর মে মাসে বিজয় মালিয়াকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু একাধিক আইনি জটিলতার কারণে তাকে এখনও দেশে ফেরানো যায়নি। তবে ব্রিটেনের হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে বিজয় মালিয়ার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তাকে দেশে ফেরানোর বিষয় আশার আলো দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বর্তমানে ব্রিটেনে রয়েছেন মালিয়া। সরকারি সূত্রের দাবি, তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া কিছুটা এগিয়েছে।