সংক্ষিপ্ত

  • কতটা পড়তো দেবাঙ্গ
  • বাড়ির শিক্ষকের ভূমিকা কতটা, কী বলছে অন্বেষা

মঙ্গলবার আই.এস.সি ও আই.সি.এস.ই ফলাফল ঘোষণা হল। আর তা প্রকাশ্যে আসা মাত্রই কলকাতার সাফল্য উঠে আসে শীর্ষে। প্রথম দুয়ে জায়গা করে নেয় কলকাতার দুই ছাত্রছাত্রী। লামার্টিনিয়া অব বয়েজ থেকে আই.এস.সি-তে দেশে প্রথমস্থান অধিকার করে দেবাঙ্গ আগরওয়াল। মোট ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে নম্বর তার দক্ষলে।

দেবাঙ্গের মতে, পরীক্ষায় ভালো ফল করতে হলে পরিশ্রম করাটা ভিষণ জরুরি। ঘড়ি ধরে পড়া নয়, কিন্তু অধিকাংশ সময়টাই বই পড়তাম। এতটা ভালো ফল হবে সত্যি আশা করিনি, ভেবেছিলাম নব্বইয়ের ঘরেই থাকবে, কিন্তু প্রথম হব বুঝিনি। পরীক্ষা দেওয়ার পর মনে হয়েছিল ভালো দিয়েছি, নিজের সবটুকু দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলাম, ফলাফল পেয়ে ভালোই লাগছে। সবাই শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।

অপরদিকে আই.এস.সি.ই.তে দেশে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে অন্বেষা চট্টোপাধ্যায়। তার ঝুলিতে ৯৯.৪০ শতাংশ নম্বর। গার্ডেন হাইস্কুলের ছাত্রী অন্বেষার মত আবার ভিন্ন। মোটেই বেশি পড়াশুনা নয়, পরিমাণ মতন প্রতিদিন পড়লেই ভালো ফল করা যায়। স্কুলে যা পড়ানো হয়, তার ওপরই নির্ভর করত অন্বেষা। গৃহশিক্ষক থাকলেও তার মতে স্কুলেই সে বেশি সাহায্য পেয়েছে, তাই তার সংগ্রহে এত নম্বর।

পড়াশুনোর ধাঁচ ও মান বদলে সেরার সেরা স্থানগুলো জয় করে ছাত্রছাত্রীদের অকাংশ জানাচ্ছে, স্কুলেই প্রশিক্ষণ হয় ভালো, গৃহশিক্ষকের দ্বারা আরেকটু সেটা ঝালিয়ে নেওয়া যেতে পারে, তবে পরীক্ষার সময় আত্মবিশ্বাস অটুট রাখা একান্ত প্রয়োজন।