সংক্ষিপ্ত

  • শনিবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন আসরফ আলি নামে ওই বৃদ্ধ
  • রবিবার গ্রামের  একটি স্কুলবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় বৃদ্ধের মৃতদেহ
  • ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর আসল কারণ জানাতে নারাজ পুলিশ প্রশাসন

নাগরিকত্ব হারানোর ভয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকে-এমনই কিছু খবর আসছিল অসমের মানুষের পক্ষ থেকে। অসমের মানুষের দাবি, ইতিমধ্যেই নাকি ২৩টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কিন্তু পুলিশের দাবি সংখ্যাটা মাত্র তিন। 

ঘটনা যাই হোক না কেন, মনে করা হচ্ছে এই মৃত্যু মিছিলে সামিল হল আর একটি ঘটনা। সূত্রের খবর, গুয়াহাটি থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে, অসমের কামরূপ জেলার সন্তোলি গ্রামের একটি স্কুলবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৮৮ বছরের এক বৃদ্ধের মৃতদেহ। রবিবার স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয় মৃতদেহটি। 

সূত্রের খবর, শনিবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন আসরফ আলি নামে ওই বৃদ্ধ। পরিবারকে তিনি বলে গিয়েছিলেন, রমজানের উপোস ভাঙার জন্য খাবার আনতে যাচ্ছেন। তারপর আর ফিরে আসেননি। পরে অনুমান করা হচ্ছে সেইসময়েই হয়তো বাজার থেকে বিষ কিনে এনেছেন তিনি। পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত বছরে অসমের নাগরিকপঞ্জি তালিকায় নাম ছিল তাঁদের৷ 

সুপ্রিম কোর্টের নোটিসে জানানো হয়, অসমের ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি)-এ নাম তোলার শেষ তারিখ ৩১ জুলাই-এর পর আর বাড়ানা হবে না। এবছর লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন, অর্থাৎ গত ২৩ মে পুনরায় নাগরিকত্ব যাচাই করার জন্য ডেকে পাঠানো হয় ৮৮ বছরের ওই বৃদ্ধকে৷ পুনরায় নেওয়া হয় বায়োমেট্রিক্স পরীক্ষা নেওয়া হয় তাঁর। সেখান থেকে ফিরে আসার পর থেরেই মানসির অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। বন্ধ করে দিয়েছিলেন খাওয়া-দাওয়াও। 

পুলিশের পক্ষ থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর আসল কারণ জানাতে নারাজ পুলিশ প্রশাসন। তবে পরিবার এবং স্থানীয়দের দাবি, আত্মহত্যাই করেছেন আসরফ আলি।