সংক্ষিপ্ত
- কোভ্যাক্সিন নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে কংগ্রেস
- মণীশ তিওয়ারি আক্রমণ করেন কেন্দ্রকে
- ভারতীয়রা গিনিপিগ নয় বলেই দাবি করেন
- তৃতীয় দফার ট্রায়ালের তথ্যা না পেয়ে টিকাকরণের বিরোধিতা
বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়ে যাবে টিকাকরণ। কিন্তু তার আগের দিনও দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি এদিন সংবাদ সংস্থা এনএনআই-কে বলেছেন ভারতের নাগরিকরা গিনিপিগ নয়। তাই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগে ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকা জরুরি অবস্থায় ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
ইতিমধ্যেই দিল্লিসহ দেশের ১০টি শহরে পৌঁছে গেছে ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। কিন্তু তারপরেই এই টিকা ব্যবহার নিয়ে রীতিমত সুর চড়িয়েই আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেছেন, তৃতীয় দফার ট্রায়ালের ফলাফল হাতে না আসার আগে এই ভ্যাক্সিন টিকাকরণের কাজে ব্যবহার করা ঠিক হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন ভারতীয়রা নাগরিকরা গিনিপিগ নয়। ট্রায়াল মোডে থাকার সময়ই এই টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তাই হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে তথ্য না আসায় জানা যাচ্ছে না এই টিকা কতটা কার্যকরী ও কতটা সুরক্ষিত। তিনি আরও বলেন আগে বলা হয়েছিল ভারতীয় নাগরিকরা টিকা বাছাই করতে পারবেন। কিন্তু বর্তমানে বলা হচ্ছে বাছাবাছির কোনও সুযোগ দেশের নাগরিকদের হাতে নেই। সরকার জোর করে নিজের সিদ্ধান্ত দেশের নাগরিকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন কংগ্রেস সাংসদ। একই সঙ্গে দিন দুই আগে তিনি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে ট্যাগ করে একটি টুই বার্তাতেও একই প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, ভারত বায়োটেকের ভ্যাক্সিন কতটা নিরাপদ? সরকার কি দেশের মানুষের নিরাপত্তার গ্যারেন্টি দিতে পারবে? ভ্যাক্সিনকে উপশন করতে পারবে?
যদিও কংগ্রেস সাংসদের বাধা উপেক্ষা করেই টিকাকরণ কর্মসূচির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। কোভিশিল্ডের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই ভারতবায়োটেরের তৈরি কোভ্যাক্সিনও পৌঁছে গেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, দেশের ১১টি শহরে ৫৫ লক্ষ ডোজ পৌঁছে গেছে। সংস্থাটি ১৫ লক্ষ ডোজ বিনামূল্যে দেবে বলেও জানিয়েছে।