সংক্ষিপ্ত
দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ও ব্যালেস্টিক মিসাইল ট্র্যাকিং জাহাজ ধ্রুব পুরোপুরি প্রস্তুত শত্রুপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে। ১০ হাজার টন ওজনের জাহাজটি অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে যাত্রা শুরু করবে।
চিনকে জোর ধাক্কা। সমুদ্রযুদ্ধে ভারতের (India) শক্তি বাড়িয়ে জলে নামছে আইএনএস ধ্রুব (INS Dhruv)। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ও ব্যালেস্টিক মিসাইল ট্র্যাকিং জাহাজ (First Satellite, Ballistic Missile Tracking Ship) ধ্রুব পুরোপুরি প্রস্তুত শত্রুপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে। ১০ হাজার টন ওজনের জাহাজটি অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে যাত্রা শুরু করবে।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনী, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) এবং ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (এনটিআরও) -এর শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আইএনএস ধ্রুব যাত্রা শুরু করবে।
আইএনএস ধ্রুব, ভারতীয় নৌবাহিনীর অস্ত্রাগারের নতুন ও অত্যাধুনিক হাতিয়ার। ডিআরডিও এবং এনটিআরওর সহযোগিতায় হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ড এটি তৈরি করে। জাহাজটিতে রয়েছে একাধিক উন্নত মানের সরঞ্জাম, যা শত্রুপক্ষকে কাবু করতে সক্ষম। আধুনিক সমুদ্রযুদ্ধে এই জাহাজ ভারতের অন্যতম শক্তি হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আইএনএস ধ্রুব ভারতের প্রথম নৌযুদ্ধ জাহাজ, যা পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাক করতে সক্ষম। ফলে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শত্রু দেশগুলির চ্যালেঞ্জ খুব সহজেই ভারত মোকাবিলা করবে বলে বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের। যেভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্য দেশগুলির দাপট বাড়ছে, সেখানে ভারতের এই শক্তি বৃদ্ধি তাদের চ্যালেঞ্জ জানাবে।
আইএনএস ধ্রুব শত্রু সাবমেরিনগুলির গবেষণা এবং সনাক্তকরণের জন্য ওশেন বেড ম্যাপ দিয়ে তৈরি। প্রতিপক্ষ জাহাজে কী ধরণের অস্ত্র রয়েছে, তা শনাক্ত করে সেই তথ্য তুলে দেবে নৌসেনার হাতে। এছাড়াও কোন দেশ কী ধরণের অস্ত্র বা মিসাইল ব্যবহার করতে পারে, তার গবেষণাও চালাবে আইএনএস ধ্রুব।
ভারতের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাকিং জাহাজটি ভারতীয় নৌবাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (এসএফসি) দ্বারা পরিচালিত হবে। আইএনএস ধ্রুবের সংযোজনের মাধ্যমে, ভারত এমন দেশের তালিকায় যোগ দিল, যা শুধু ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া এবং চিনকে নিয়েই তৈরি ছিল।