সংক্ষিপ্ত

  • গুগল সবথেকে বেশি সার্চ হয়েছে রিহানা 
  • জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁর জাতি 
  • জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁর দেশ সম্পর্কে 
  • কৃষকদের সমর্থনের পরই টুইট 
     

ভারতীয় নেটিজেনদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মার্কিন পপস্টার রিহানা। না, তাঁকে নিয়ে যত না উৎসহ তার থেকে বেশি উৎসহ তাঁর জাতি আর অরিজিন নিয়ে। কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে টুইটারে বার্তা দেওয়ার পর থেকেই মার্কিন পপস্টারের ইতিবিত্ত জানতে নেটঘাঁটাঘাটি বা গুগল সার্চ শুরু করেছেন ভারতীয় নেটিজেনরা। প্রশ্নের মুখে পড়েছে রিহানার জাতি। গতকালই সামনে আসে ভারতে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে তাঁর টুইট। সোশ্যাল মিডিয়ায় সিএনএন-এর একটি প্রতিবেদন পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন কেন তাঁরা ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে কথা বলছেন না। তারপরই থেকেই এই বিখ্যাত পপস্টারকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়।

গুগল ট্রেন্ড অনুযায়ী সবথেকে বেশি মানুষ জানতে চেয়েছিলেন রিহানা কি মুসলিম? দ্বিতীয় প্রশ্ন রিহানা কি পাকিস্তানি? কৃষকদের নিয়ে টুইট করার পরই তাঁর টুইট ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু দেখা যায় সেই সময় অনেক ভারতীয় তাঁর নামের সঙ্গে পরিচিত ছিল না। তাই গুগলে তাঁকে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল তত্ত্ব তল্লাশি। যদিও নিজের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রতিষ্ঠিত রিহানা। আটটি গ্র্য়ামি অ্যাওয়ার্ড জয় করেছেন তিনি। টুইটারে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি। ভারতের প্রধানমনমন্ত্রীর টুইটার ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছ-কোটি। 

গুগল ট্রেন্ডের সূচিত করে, যে কিওয়ার্ড ও বাক্যাংগুলি নিয়ে বেশি অনুসন্ধান করা হয়েছে সেগুলি হল রিহানা কি মুসলিম, তাঁর ধর্ম কী, অনেকে আবার খোঁজ করেছেন রিহানা কি পাকিস্তানি। যদিও জানা যায় মার্কিন পপ তারকা একটি খ্রিস্টান পরিবারে বড় হয়েছেন। তিনি বার্বাডোসের নাগরিক। ১৯৮৮ সালে জন্ম। ২০০৩ সালে সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন তিনি। এখনও পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ২৩০ মিলিয়ন রেকর্ড বিক্রি হয়েছে তাঁর গানের। যদিও কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করার পর তাঁর প্রতিভার থেকে বেশি তাঁরা দেশ আর জাতি নিয়েই আগ্রহী হয়ে পড়েন ভারতীয় নেটিজেনরা। 
দিল্লি পুলিশের নিশানায় থেকেও আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা, কী কী রয়েছে গ্রেটার টুলকিটে ...

কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে টুইটার যুদ্ধ, গ্রেটার বিরুদ্ধে FIR দিল্লি পুলিশের, কঙ্গনার পোস্ট মোছা হল ...

শুধু রিহানা নয়। তিনি কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোকপাত করার পর বিষয়টি নিয়ে মার্কিন ও ব্রিটিশ জনপ্রতিনিধিরাও আলোচনা করতে শুরু করেন। সেই পরিস্থিতিতে ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে আলোচনার বিষয়টিতে অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেও দাবি করা হয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে। একই সঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। এজাতীয় মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বিদেশ মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন ভারতীয় সেলিব্রিটিরাও। সকলেই দেশের একতা আর ঐক্যবদ্ধ থাকার বিষয়ে জোর দিয়েছিলেন।