সংক্ষিপ্ত

জম্মু ও কাশ্মীরে সাফল্য এনআইএ-র। গ্রেফতার জইশের বড় অপারেটর। ভারত সম্পর্কে তথ্য পাচার করত বলে অভিযোগ।

 

জি-২০ বৈঠকের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বড় সাফল্য পেল ভারতের তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। রবিবার পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ অপারেটর মহম্মদ উবাইদ মালিকরে গ্রেফতার করেছে , জানিয়েছে প্রশাসনিক এক কর্তা। উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে উবাইদ মালিককে। সূত্রের খবর, সেনা বাহিনীর অনুমান ভারত সম্পর্কে তথ্য সে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সরবরাহ করত।

সেনা বাহিনীর কাছে খবর ছিল ভারতের অস্থির করার জন্য মুম্বই হামলার মত ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠী। তারই বিরুদ্ধে এদিন অভিযান শুরু করেছিল সেনা বাহিনী। তাতেই সেনা বাহিনীর হাতে পেয়েছে মালিককে। সূত্রের খবর মালিকের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রয়েছে জইশের। কেন্দ্রীয় সংস্থার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'মালিক পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল বেশকয়েক দিন ধরেই। গোপন তথ্য- বিশেষ করে সেনা বাহিনীর গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য, বাহিনীর সংখ্যা এগুলি সে পাকিস্তানের জইশ কমান্ডারদের কাছে পাঠাচ্ছিল।' সেনা বাহিনীর এক কর্তা জানিয়েছে, তাকে গ্রেফতারের সময় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও একাধিক অপরাধমূলক নথিও উদ্ধার হয়েছে।

ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি গত বছর ২১ জুন পাকিস্তানের কমান্ডারদের নির্দেশে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ক্যাডার ও ওভারগ্রাউন্ড কর্মীদের তৈরি ষড়যন্ত্রগুলি ব্যার্থ করতে একাধিক পদক্ষেপ করছে। যারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা। মাদকদ্রব্য, নগদ , অস্ত্র, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস, রিমোট কন্ট্রোল চালিত স্টিকি, বোমা সংগ্রহ আর বিতরণ। মুখপাত্র জানিয়েছেন, আইইডি ও বিস্ফোরক প্রায়ই ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্তের ওপর থেকে এপারে পাঠান হচ্ছে। এগুলি জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা পরিচালনা করার জন্য একত্রিত করা হচ্ছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে বর্তমানে জঙ্গিদের প্রধান টার্গেটই হল সেনা বাহিনী ও এলাকার সংখ্যালঘু মানুষ। এনআইএ বলেছে শান্তি ও সম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিঘ্ন করা জঙ্গি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া ও ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার লক্ষ্য কোনও বড় চক্রান্ত করা হচ্ছে।

সম্প্রতি কাশ্মীরে সেনা বাহিনীর ওপর হামলা করেছিল জঙ্গিরা। তারপর থেকেই রীতিমত সক্রিয় সেনা বাহিনী। পাশাপাশি ভূস্বর্গের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানই চালাচ্ছে সেনা বাহিনী। কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তারও তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তাই হামলার ঘটনা রুখতে সতর্ক প্রশাসন।