সংক্ষিপ্ত

আরিফ খানের মতে মহিলাদের সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখার জন্য নয়। মানুষ ভগবানের দান দেখতে পান মহিলাদের মধ্যে। তাই সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হিজাব প্রথার পরিবর্তন আনা উচিত। 

ধর্মকে বিভক্ত করা উচিত নয় বরং মানুষকে একত্রিত করে এমন ধর্ম মেনে চলা উচিত। যদি কোনও ধর্মের ড্রেসকোড শান্তি বা আইন ভঙ্গ করে, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার ভারতের মতো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রয়েছে। এমনই মত কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের। কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের বিষয়ে আরিফ মহম্মদ খানের (Kerala Governor Arif Mohammad Khan) দাবি হিজাব প্রথা (Hijab Controversy) দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাদের (Muslim Woman) পিছিয়ে দিচ্ছে। কোনও মুসলিম মহিলার সৌন্দর্য (Beauty of Muslim women) ঢেকে রাখার জন্য নয়, তা ভগবানের দান, উপহার। 

আরিফ খানের মতে মহিলাদের সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখার জন্য নয়। মানুষ ভগবানের দান দেখতে পান মহিলাদের মধ্যে। তাই সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হিজাব প্রথার পরিবর্তন আনা উচিত। 

কেরলের রাজ্যপাল আরও বলেন, আগের সরকারগুলি নিয়ম এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী লোকদের সামনে মাথা নত করত, কিন্তু বর্তমান সরকার মাথা নত করছে না, তাই দেশের এই রক্ষণশীল ইস্যুগুলো সামনে চলে আসছে। এর পরিবর্তন প্রয়োজন। অতীতে, মেয়েদের এবং মহিলাদের মাটির নীচে চাপা দেওয়া হত। এখন তাদের চাপা দেওয়া হয় পর্দা এবং তিন তালাকের মতো নিয়মের নীচে। 

এদিন আরিফ খান বলেন শিক্ষার্থীরা ড্রেস কোড সম্পর্কে সচেতন থাকা অবস্থায় জেনেশুনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে, হঠাৎ করে এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারে না। এই ধরণের ঘটনা কিছু রাজনৈতিক ও গোপন উদ্দেশ্য সফল করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁর মতে এই ইস্যু কোনও জটিল ব্যাপার নয়। একে জাতীয় স্তরে ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- ‘ইউনিফর্ম শুধু স্কুলে ব্যবহার হত, কলেজে নয়’, হিজাব মামলায় সওয়াল আইনজীবীর

আরও পড়ুন- মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের তারিখে পরিবর্তন, নয়া ঘোষণা কমিশনের

আরিফ খান বলেন “শিক্ষার্থীরা কোরানের উদ্ধৃতি দিচ্ছে না, ধর্মের উদ্ধৃতি দিচ্ছে। কোথাও হিজাব শব্দের নাম দেওয়া হয়নি, কোরানে ব্যবহৃত শব্দ খিমার অর্থ দুপাট্টা। কুরআনে জিলবাব হল শার্টের মত। এতে কোথাও বলা নেই যে আপনার স্কার্ফ আপনার মুখের উপর টেনে নিন, বরং বলা হয়েছে আপনার জিলবাবের উপরে স্কার্ফ নিন। হিজাব শব্দটি যেখানেই ব্যবহার করা হোক না কেন, তা কোনও পোশাক অর্থে ব্যবহৃত হয়নি।" 

উল্লেখ্য, হিজাব ইস্যু নিয়ে আপাতত তোলপাড় গোটা দেশ। যদিও এই ইস্যুতে কড়া বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সিনিয়র আইনজীবী দেবদত্ত কামাতের শুনানির আবেদনে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই মামলা জাতীয় ইস্যু নয়, তাই এর জরুরি ভিত্তিতে শুনানি প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, দেবদত্ত কামাত কর্ণাটকের কলেজ এবং স্কুলগুলিতে হিজাব বিতর্কের বিষয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশে এসএলপি দায়ের করেছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত এই মামলার জরুরী শুনানি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে যে কর্ণাটক হাইকোর্টকে প্রথমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।