সংক্ষিপ্ত
স্পিডের কাঁটা চরমে তুলে গাড়ি চালালেও আর জরিমানা করা হচ্ছে না। ব্যস্ত সময়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে গাড়ির চালকদের।
গাড়ি চালানোর গতি যদি থাকে প্রবল বেগে, তাহলে তাড়াহুড়োর মুহূর্তে খুব সাবধান। ধরা পড়লে আগে যেমন খসত মোটা অঙ্কের টাকা, এবারের শাস্তি আরও কঠিন। ব্যস্ত সময়ে সমস্ত কাজ ফেলে রেখে বসতে হবে মনোবিদের সামনে। অন্তত আধ ঘণ্টা ধরে করা হবে ‘শশব্যস্ত’ চালকের কাউন্সেলিং।
ভারতের ব্যস্ততম একটি শহর হল বাণিজ্যনগরী মুম্বই। এই শহর থেকে পুণেগামী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে অত্যন্ত দ্রুত বেগে গাড়ি চালালে এত দিন শাস্তি দেওয়ার উপায় হিসেবে নির্ধারিত ছিল চালকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায়। কিন্তু, দেখা গেছে সেই নিয়মেও ফিরছে না চালকদের সুমতি। তাই এবার, ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে গাড়ির গতিতে লাগাম টানছে পরিবহণ দফতর। স্পিডের কাঁটা চরমে তুলে গাড়ি চালালেও আর জরিমানা করা হচ্ছে না চালকদের। এর বদলে ব্যস্ত সময়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে করা হচ্ছে তাঁদের কাউন্সেলিং। মানসিক সাহায্য বা উপদেশ দেওয়ার জন্য বহাল থাকছেন বিশেষ পরামর্শদাতাও।
এই বিষয়টি সম্পর্কে উদ্যোগ নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের কর্তারা। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে চালু করা হয়েছে এই নতুন ব্যবস্থা। মুম্বই-পুণে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেসমস্ত চালক গাড়ি চালাচ্ছেন, তাঁদের গতি মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে আগের মতোই গাড়ি আটকে দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু, মোটা টাকা জরিমানা কেটে নিয়ে তাঁদেরকে আর সহজে নিজস্ব গন্তব্যে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না। তার বদলে টানা ৩০ মিনিট ধরে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে সেই সমস্ত চালকদের।
মনোচিকিৎসা করার পদ্ধতি হিসেবে এই ৩০ মিনিটের মধ্যে একটি ছোটখাটো তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে চালকদের। তার পর তাঁদের ট্র্যাফিক সংক্রান্ত একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে সামিল করা হচ্ছে। এতেই শেষ নয়, এরপর আবার একটি করে ঠান্ডা পানীয়ও দেওয়া হচ্ছে চালকদের হাতে। জোর করে জরিমানা আদায় না করে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মন শান্ত করিয়ে করিয়ে চালকদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে পরিবহণ দফতর।
শুধুমাত্র মন শান্ত করাই এই পদ্ধতির আসল উদ্দেশ্য নয়। এর নেপথ্যে আরও একটি পরিকল্পনা রয়েছে পরিবহণ অফিসের। ব্যস্ত চালকদের আটকে রেখে ৩০ মিনিট ধরে চলা এই বাধ্যতামূলক কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে যে, তাঁরা যদি নিয়ম মেনে গাড়ি চালাতেন, তাহলে নিজের গন্তব্যস্থলে আরও ৩০ মিনিট আগে পৌঁছে যেতে পারতেন।
আধ ঘণ্টা ধরে হওয়া কাউন্সেলিংয়ের পর নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর একটি প্রতিশ্রুতিপত্রে স্বাক্ষরও করতে হচ্ছে ধৃত চালকদের। মুম্বইয়ের খালাপুর এবং টালেগাঁও টোলে দু’টি কাউন্সেলিং সেন্টার খুলেছে পরিবহণ দফতর। তবে, পরিস্থিতি কতটা জরুরি, তা পর্যালোচনা করে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কিছু কিছু চালককে এই কাউন্সেলিং থেকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-
ভারতে আরও একবার বৃদ্ধি পেতে চলেছে সুদের হার, রেপো রেট বাড়িয়ে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া
রাতের অন্ধকারে বারুইপুরে গোলাগুলি, অভিযুক্তের নাম জানতে পেরেই বাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা
‘কোদাল বেলচা’ নিয়ে মদন মিত্রের বিতর্কিত মন্তব্য, শোভনদেবের বিরোধিতার পর কী বললেন কামারহাটির বিধায়ক?