সংক্ষিপ্ত

ফের রাজ্য়ে এল কেন্দ্রের নির্দেশ

প্রতিরক্ষার দ্বিতীয় সারি তৈরি রাখতে বলা হল

ক্রমে পুলিশ বাহিনীতে করোনার হানা বাড়ছে

এবার তাদেরকেও ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হতে পারে

দেশজুড়ে চলছে করোনা-যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধে ডাক্তার, নার্স, চিকিৎসাকর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়ছেন পুলিশকর্মীরাও। আর এই করতে গিয়ে যেমন দেশের অনেক নার্স-চিকিৎসক আক্রান্ত হচ্ছেন, তেমনই কোভিড-১৯ থাবা বসিয়েছে দেশের অনেক পুলিশকর্মীর উপরও। বিভিন্ন রাজ্যেই সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে কয়েক সপ্তাহ পরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখাটাই অসম্ভব হয়ে পড়বে। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রবিবার কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যসরকারগুলি-কে এই মারাত্মক ভাইরাসের বিস্তার রোধে 'প্রতিরক্ষার কার্যকরী দ্বিতীয় সারি' প্রস্তুতির পরামর্শ দিল।
 
দেশের সবকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এই উপদেশ পাঠানো হয়েছে। তাতে মন্ত্রক বলেছে, ফ্রন্টলাইনে মোতায়েন নেই এমন কর্মীদের এবং আর যে যে পুলিশকর্মীদের ক্ষেত্রে সম্ভব, তাদের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রধানদের 'ওয়ার্ক ফ্রম হোম' বা 'বাড়ি থেকে কাজ' করার বিকল্প বিবেচনা করে দেখা উচিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে আরও বলা হয়েছে, 'কোভিড-১৯'এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য এবং কোভিড-১৯'এর নিয়ন্ত্রণের কৌশল-কে অব্যাহত রাখতে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে অকার্যকর হয়ে পড়া পুলিশকর্মীদের অভাব পূরণের জন্য, পুলিশ বাহিনীকে একটি এফেক্টিভ সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্স বা কার্যকরী প্রতিরক্ষার দ্বিতীয় সারি তৈরি করতে হবে'।

লকডাউন জারি করার পর থেকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণ, তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা, লকডাউন সবাই মেনে চলছেন কিনা সেদিকে নজর রাখা, এমনকী অভাবীদের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া থেকে হটস্পটে বাড়ি বাড়ি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছোনো, লকডাউনে প্রয়োজনীয় যে কোনও পরিষেবা দেওয়ার কাজ করে চলেছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে রয়েছে সচেতনতার প্রচার, কোথাও কোথাও পুলিশ কর্মীদের গান গেয়ে এলাকাবাসীকে চাঙ্গা করতে দেখা গিয়েছে।

এতরকম ভূমিকা নিলেও পুলিশের ভাইরাস থেকে প্রতিরক্ষা বলতে একজোড়া গ্লাভস আর ফেস মাস্ক। কোভিড-১৯'এর রোগীদের নিয়ে কাজ করতে গেলে কিন্তু, পুলিশকর্মীদেরও পিপিই দেওয়া প্রয়োজন। সেই বিষয়ে অবশ্য কেন্দ্র বা রাজ্য, কোনও সরকারকেই কোনও মন্তব্য করতে শোনা যায়নি।