সংক্ষিপ্ত

  • এফএসএসএআই-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্য
  • প্রক্রিয়াজাত দুধের ক্ষতিকারক দিক সামনে এল
  • নমুনার জন্য সংগ্রহ করা দুধের ৪১ শতাংশই নিম্নমানের
  • একাধিক বড় সংস্থাও মান বজায় রাখতে পারেনি

গত বছর দেশের প্রায় এক হাজারের বেশি শহর থেকে ৬,৪৩২ টি প্রক্রিয়াজাত এবং কাঁচা দুধের উপাদান পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করেছিল নিয়ামক সংস্থা ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা এফএসএসএআই৷ গত বছরের মে থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে বিভিন্ন সংগঠিত ও অসংগঠিত সংস্থা থেকে নমুনাগুলি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার পর তার রিপোর্ট পেশ করে এফএসএসএআই। আর এই রিপোর্ট থেকেই প্রকাশ্যে এল  প্রক্রিয়াজাত এবং কাঁচা দুধের ক্ষতিকারক দিকটি। সার্ভেতে উঠে এসেছে নমুনার জন্য সংগ্রহ করা দুধের ৪১ শতাংশই নিম্নমানের। 

প্রক্রিয়াজাত এই দুধে অ্যাফলাটক্সিন -এম১, অ্যান্টিবায়োটিক ও কীটনাশকের মত একাধিক বিপজ্জনক পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এফএসএসএআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, সংগ্রহ করা নমুনার মধ্যে যে ১২টি নমুনায় ভেজালের উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা, তার মধ্যে ৯টি তেলেঙ্গানা থেকে সংগৃহীত, দুটি মধ্যপ্রদেশ থেকে এবং একটি কেরালা থেকে নেওয়া। ভেজালের মধ্যে ছটি ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হাইড্রোজেন পারক্সাইড, তিনটি ক্ষেত্রে ডিটারজেন্ট, দুটি ক্ষেত্রে ইউরিয়া এবং একটি ক্ষেত্রে নিউট্রিলাইজার রাসায়নিক থাকার প্রমাণ পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যা মানবদেহের পক্ষে নিতান্তই ক্ষতিকারক।

 শুধুমাত্র ছোট ব্র্যান্ডগুলিই নয়, একাধিক বড় সংস্থাও তাদের প্রক্রিয়াজাত দুধে এফএসএসএআই নির্ধারিত মান বজায় রাখতে পারেনি। যার দরুন, আগামী বছর ১ জানুয়ারি থেকে এই ধরনের সমস্ত সংস্থাকে তাঁদের দুধে এফএসএসএআই নির্ধারিত মান বজায় রাখা এবং তা বজায় থাকছে কি না, তা যাচাই করার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা চালু করার জন্য নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।