সংক্ষিপ্ত
- বিরোধীরা যাই বলুন না কেন তিনি ইভিএম-এর পক্ষেই
- রাজ্য সভা থেকে সবাইকে বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী
- বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনি চান এক দেশ এক ভোট নীতির পক্ষে
রাজ্য়সভায় প্রধানমন্ত্রীর জবাবী ভাষণে নরেন্দ্র মোদী বুঝিয়ে দিলেন, বিরোধীরা যাই বলুন না কেন তিনি ইভিএম-এর পক্ষেই। সপ্তদশ লোকসভা সক্রিয় হওয়ার আগে থেকেই, নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠনের জনাদেশ আসার পরেই ইভিএম পদ্ধতির বিরোধিতা করেছিল বেশির ভাগ বিরোধী পক্ষই। নরেন্দ্র মোদী সমস্ত যুক্তির প্রতিযুক্ত দিলেন বর্তমান, অতীত ও ভবিষ্যতের স্বপ্নকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।
অন্য খবরঃ এনআরসি হবেই, মমতাকেই কি বার্তা দিলেন মোদী
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেনঃ
- নির্বাচন কমিশন আমার সঙ্গে দেখা করলে আমি বলেছিলাম, বিশ্বের সামনে ১০ লক্ষ পোলিং স্টেশন, ৪০ লক্ষ ইভিএম, ৮০০০ এর বেশি প্রার্থীর এই ভোট দুনিয়ার সামনে রাখা যায় এই উদাহরণ।
- আমরা পুরুষ মহিলার মতদানের বৈষম্য দূর করে দিয়েছি। ৭৮ জন মহিলা সাংসদও এসেছে লোকসভায়। দেশের প্রতি কোণায় বিজেপি জিতেছে। যাদের অহঙ্কার হারল তাঁরা মাথা নাত করতে জানে না। আমি ভারতের সব মতদাতাকে অভিনন্দন জানাই।
- ইভিএম নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আমরাও তো একদিন মাত্র দুটি আসনে জিতে এসেছিলাম। অনেক খারাপ দিন দেখেছি আমরা। পরিশ্রম করার শক্তি আর দেশের মানুষের আশীর্বাদে আমরা এই জায়গায় এসেছি। হেরেছি কিন্তু ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করিনি। যাদের নিজের ওপর ভরসা নেই, দোষ স্বীকারের ক্ষমতা নেই, তারা ইভিএম-এর দোহাই দেয়।
- বিরোধীরা নিরাশ হবেন না। ভোট তে আরও হবে। রায়বেরিলি, থিরুঅনন্তপুরমেও কি ভারত হেরেছে?
- আগে ভোটের পরে হেডলাইন হত- কত হিংসা হল, কত জন মারা গেল, কী ভাবে বুথ ঘেরাও হল। কিন্তু ইভিএম আসার পর থেকে এসব আর খবর হয় না। খবরে আসে মতদানের পরিমাণ নিয়ে। এরা আবার আমাদের পিছিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে।
- ১৯৮৮ সালে আইনি ভাবে ইভিএম-কে মান্যতা দেওয়া হয়। তার মানে ইভিএমতোমরা এনেছ, আমরা তো আনিনি! ১১৩ টি বিধানসভা ভোট হয়েছ এই ইভিএম-এ, চার লোকসভা ভোট হয়েছে এই ইভিএম-এ। হেরে গিয়ে এই মত কেন? হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট এর পক্ষে কথা বলেছে।
- ইলেকশান কমিশন ২০১৭ সালে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। বলা হয়েছিল যাদের ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তাঁরা প্রমাণ করে দেখাক। শুধু গিয়েছিল এনসিপি ও সিপিএম।
- আমরা নিজেরাও ইভিএম নিয়ে নানা কিছু ভেবেছি, কিন্তু টেকনলজির বিষয়ে ধীরে ধীরে বুঝতে পেরেছি। আমাদের কোনও দ্বিধা নেই ইভিএম নিয়ে।
- এর পরে এল ভিভিপ্যাট, আসলে ভোটটাকেই নষ্ট করতে চাইছিল এরা। আপনারা এতদিন এত জিতেছেন , জিতেও আপনারা আনন্দ পান না, আপনারা হারও স্বীকার করতে পারেন না।
- ১৯৫২ থেকে এই পর্যন্ত বারবারই ভোটপদ্ধতির সংস্কার হয়েছে। তাই নিয়ে কথা বলা ভাল, কিন্তু সরাসরি নস্যাৎ করে দেব. এটা কেমন? এক দেশ এক ভোট এ র মধ্যে খারাপ কী, রাজ্য কেন্দ্র মিলে কাজ করুক, এত অর্থ ও মানবসম্পদের অপচয় রোখা যাবে।
- এর পরেই মোদী মুখ খোলেন এক দেশ এক ভোট নিয়ে। তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে এক দেশ এক ভোট হত। কংগ্রেস তার ফলও পেয়েছে। আজ তাঁরা এর বিরোধিতা করছে। ওড়িশার কথা ধরুন, ওড়িশার লোক লোকসভা বিধানসভায় আলাদ আলাদা ভোট দিয়েছে। সুতরাং মানুষের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তাকে সন্দেহ করে লাভ নেই।'