সংক্ষিপ্ত
নতুন সরকার গঠন নিয়ে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিল। এমনও তথ্য উঠে এসেছিল যে হয়ত এবার তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করতে পারবে না এনডিএ। কিন্তু দিনের শেষে শেষ হাসি হেসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই।
২০১৪ এবং ২০১৯-এর তুলনায় বিজেপি এবং এনডিএ-র পারফরম্যান্স অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে, কংগ্রেস এবং বিরোধী দলগুলি প্রচুর লাভ পেয়েছে। এবার বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক ফিগার (২৭২) স্পর্শ করতে পারেনি এবং ২৪০-এই আটকে গিয়েছে তাঁদের বিজয়রথ। এমন পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গঠন নিয়ে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিল। এমনও তথ্য উঠে এসেছিল যে হয়ত এবার তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করতে পারবে না এনডিএ। কিন্তু দিনের শেষে শেষ হাসি হেসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই।
এবার বিজেপির ভরসা এখন শরিক দলগুলি। তবে বিজেপিই সরকার গড়বে তা প্রায় নিশ্চিত। তবে বিরোধীদের দাপটে সরকার ইচ্ছা মতো চালানো খুব একটা সহজ হবে না। এরই মাঝে সরকার গঠনের বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে চন্দ্রবাবু নাইডুকে ফোন করলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। এই চন্দ্রবাবু এখন জাতীয় রাজনীতিতে বড়সড় ফ্যাক্টর। গোটা খেলা ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন ইনি।
এবারের লোকসভায় চন্দ্রবাবু নাইড়ুর টিডিপির সঙ্গে এবারে বিজেপি এবং পবন কল্যাণের জনসেনা জোট বেঁধে নেমেছিল। গতকাল সামনে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলও। ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টিকে রীতিমতো বিনাশ করে ১৭৫ আসনের বিধানসভা ভোটে টিডিপি ১৩২টি আসনে, জনসেনা ২০ আসনে, বিজেপি ৭ আসনে জিতেছে বলে খবর। আর ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি মাত্র ১৬ আসনে জয়লাভ করেছে।
লোকসভা নির্বাচনেও ঝড় তুলেছে চন্দ্রবাবু নাইড়ুর টিডিপি। এই আবহে মোদীর একমাত্র ভরসা জোটসঙ্গী। তাদের সঙ্গে নিয়েই সরকার গঠন করতে হবে। ওদিকে এখন থেকেই জোট ভাঙিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা করবে কংগ্রেস। সেই প্রচেষ্টা শুরুও করে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। তবে এনডিএ-তেই থাকছে চন্দ্রবাবুর দল, সেকথা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে চন্দ্রবাবুর দল লোকসভার স্পিকার পদের দাবি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আজ নয়াদিল্লিতে হাই প্রোফাইল এনডিএ বৈঠকে এই প্রস্তাব রাখতে চলেছে টিডিপি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।