সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ব্রিকসের ১৫তম বার্ষিকী উপলখ্যে এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করা তাঁর কাছে অত্যান্ত আনন্দের বিষয়। ব্রিকসভুক্ত দেশগুলি পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কাজের ওপরেও জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার ব্রিকস (BRICS) শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করার সময় তেমনই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদবিরোধী কাজে আগামী ১৫ বছরে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলিকে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন গত দেড় দশকে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলি অনেকটাই সাফল্য লাভ করেছে।
এদিনের ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান সিরিল রামাফোসা আর ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জাইর বোলসোনারো। ব্রিকসভুক্ত দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভআরত, চিন আর দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বের পাঁচটি বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ নিয়েই গঠিত হয়েছেন এই মঞ্চ। এই দেশগুলির জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪১ শতাংশ। বিশ্বের মোট জিডিপির ২৪ শতাংশের মালিকানা এই দেশগুলি। ১৬ শতাংশ বাণিজ্যিক প্রতিনিধিত্বও রয়েছে এই দেশগুলির হাতে।
চলতি বছর এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ব্রিকসের ১৫তম বার্ষিকী উপলখ্যে এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করা তাঁর কাছে অত্যান্ত আনন্দের বিষয়। ব্রিকসভুক্ত দেশগুলি পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির জন্য ব্রিকসভুক্তদেশগুলির যৌথ কণ্ঠস্বর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।তবে আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপরেও তিনি বেশি জোর দিয়েছেন।
এদিন ব্রিকস সম্মেলনে রাশিয়ার প্রধান ভ্লাদিমির পুতিন আফগানিস্তানের সংকটের কথা উত্থাপন করেন। তিনি বলেন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার গোটা বিশ্বকেই নতুন সংকটের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আফগানিস্তানে তালিবান শাসন আঞ্চলিক আর বিশ্বের নিরাপত্তাকে কতটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী দাঁড় করাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া বরাবরই আফগানিস্তানের মাটিতে শান্তি ও নিরাপত্তার কথা বলে আসছে। বর্তমানে ব্রিকসভুক্ত সবকটি দেশই আফগানিস্তানের দিকে মনোনিবেশ করেছে। ব্রিকস একটি কাউন্টার টেররিজম প্ল্যান গ্রহণ করেছে, যা আগামী ১৫ বছরে আরও বেশি সফল হবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস সম্মেলনে সভাপতিত্ব করলেন। এর আগে ২০১৬ সালে তিনি এই গুরুদায়িত্ব পালন করেছিলেন।