সংক্ষিপ্ত

 

  • দীর্ঘ প্রায় দু’মাস পর চালু হচ্ছে  অন্তর্দেশীয় বিমান
  • ২৫ মে দেশে শুরু হতে চলেছে বিমান চলাচল
  • আজ থেকেই শুরু হয়ে গেল টিকিট বুকিং
  • তবে যাত্রীদের মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম

দীর্ঘ প্রায় দু’মাস পরে আগামী ২৫ মে দেশে শুরু হতে চলেছে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা। দেশজুড়ে চতুর্থ দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩১ মে। তার আগেই এবার ঘরোয়া বিমান চালুর নির্দেশ দিল কেন্দ্র। করোনা সংক্রমণ রুখতে মার্চের শেষ থেকেই উড়ান পরিষেবা বন্ধ করেছিল সরকার। বুধবার অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদ্বীপ পুরী ট্যুইট করেন, "দেশিয় বেসামরিক বিমান চলাচল কার্যক্রম ২৫ মে ২০২০ সোমবার থেকে পুনরায় শুরু হবে। সমস্ত বিমানবন্দর ও বিমানসংস্থাকে ২৫ মে থেকে পরিষেবা শুরুর জন্য প্রস্তুত থাকতে অবহিত করা হচ্ছে।"  

অন্তর্দেশীয়  বিমানের জন্য বৃহস্পতিবার থেকেই টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আগে কেন্দ্র বলেছিল বিমানের মাঝের আসনের টিকিট বিক্রি করা যাবে না। ওই আসন ফাঁকা রাখতে হবে। কিন্তু বিমানসংস্থগুলি তাতে আপত্তি জানায়। তাদের বক্তব্য ছিল, দীর্ঘ লকডাউনের জেরে এমনিতেই সব সংস্থা আর্থিক ক্ষতির মুখে। এর পরে মাঝের আসন‌ খালি রাখলে কম যাত্রী নিয়ে বিমান চালাতে হবে। আর তাতে লোকসানের বোঝা বাড়বে। আর সেই লোকসান কমাতে গেলে টিকিটের দাম অনেকটা বাড়াতে হবে। অবশেষে সেই দাবি মেনে নিল কেন্দ্র। সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে, মাঝের আসনেও যাত্রী নেওয়া যাবে তবে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যাত্রী ও বিমান সংস্থাগুলিকে।

তবে লকডাউনের মাঝে বিমানে উঠতে গেলে যাত্রীদের বেশকিছু নিয়ম মেনে চলে হবে, যার মধ্যে রয়েছে, 

বিমানের জন্য নির্ধারিত সময়ের দুই ঘন্টা আগে যাত্রীকে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হবে । 
যদি চার ঘন্টার ভেতরে বিমান থাকে তাহলে যাত্রীদের টার্মিনাল বিল্ডিং-এ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। 
প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতেই হবে। 
যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং হবে। 
প্রত্যেক যাত্রীর মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা  অনিবার্য। 
১৪ বছরের নিচের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আরোগ্য সেতু অ্যাপ না থাকলেও চলবে। 
যদি তাতে 'সবুজ' সংকেত না থাকে, তার মানে তাঁর কাছে সরকারী কন্টেক্ট ট্রেসিং অ্যাপ্লিকেশন নেই, এমন যাত্রীকে যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে না। 
বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া কোনও যাত্রীদের ক্ষেত্রেই ট্রলির অনুমতি দেওয়া হবে না। তার জন্য তাঁকে ডিসইনফেক্ট করতে হবে। 
যাত্রী এবং বিমান চালকদের জন্য সর্বজনিক পরিবহন ও ট্যাক্সি সুনিশ্চিত করার বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের ওপর। 
শুধুমাত্র ব্যক্তিগত যানবাহন এবং নির্ধারিত ক্যাব পরিষেবাই পারবে যাত্রীদের বিমানবন্দরে নিয়ে যেতে। 

পণ্য পরিবহণ, অসুস্থদের উদ্ধার ও বিদেশ আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে বিশেষ উড়ান অবশ্য লকডাউনের মাঝেও চলেছে। এই প্রসঙ্গে অসামরিক বিমান পরবহণমন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত বন্দে ভারত মিশনে বিদেশে আটকে পড়া ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এদিকে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা চালুর ২ সপ্তাহ পর আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হবে বলে জানিয়েছেন হরদীপ সিং পুরী।