সংক্ষিপ্ত
শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের জন্য নির্দেশিকা সংশোধন
তিনটি স্টেশনে থামবে ট্রেন
যাত্রী সংখ্যা বাড়ান হচ্ছে
কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস
সোমবার বিকেল থেকেই বিশেষ ট্রেনের বুকিং শুরু হয়ে যাবে। তবে শুরুমাত্র আইআরসিটি-র ওয়েবসাইটে গিয়েই বুকিং করা যাবে। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে ১৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রেল মন্ত্রক। তবে আগামী দিনে বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেই রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কোয়ারেন্টাইন তৈরির জন্য প্রায় ২০ হাজার কোচ দিয়ে দিয়েছে রেল মন্ত্রক। পর্যাপ্ত সংখ্য কোচ সংগ্রহ করা হলেই ৩০০টি বিশেষ ট্রেন চালান হবে। লকডাউনের কারণে প্রায় স্তব্ধ ছিল রেল পরিষেবা। শুধুমাত্র মালগাড়ি ও হাতে গোনা গুটিকয়েক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালান হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত গুজরাত ও পশ্চিমবঙ্গ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের, কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি ..
শ্রমিক স্পেশান ট্রেনের ক্ষেত্রেও নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলি ছিল ননস্টপ। অর্থাৎ সিগনালের সমস্যা না হলে গন্তব্য ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াত না ট্রেন। এবার থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন থামবে ৩টি নির্দিষ্ট স্টেশনে। আগে থেকেই স্টেশনগুলির নাম জানিয়ে দেওয়া হবে যাত্রীদের। তেমনই জানান হয়েছে রেল মন্ত্রক সূত্রে।
এবার থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলি নির্ধারিত ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী বহন করত। ১ মে থেকে চালু হওয়া এই ট্রেনে নিরাপদ শারীরিক দূরত্বকে প্রাধান্য দিয়েই প্রয়োজনের তুলনা কম সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছিল। ৭২ আসন সংখ্যার একএকটি কোচে একদিন ৫৪ জন যাত্রীকে সফর করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার থেকে শ্রমিক ট্রেনগুলি আর সেই দিকে হাঁটবে না। ৭২ আসন সংখ্যার কোচে এবার থেকে ৭২ জন যাত্রী সফর করতে পারবেন। পয়লা মে থেকে এপর্যন্ত শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে লক্ষাধিক যাত্রী সফর করেছিলেন। কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর সবথেকে বেশি অভিবাসী শ্রমিক গুজরাত আর কেরল ছেড়েছেন। অধিকাংশেরই গন্তব্য ছিল বিহার আর উত্তর প্রদেশ।
অভিবাসী শ্রমিক ট্রেন নিয়ে রীতিমত সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। তারপরই কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানায় শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের জন্য ৮৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে রেল।
তবে এদিন কেন্দ্রের বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তিনি বলেছেন, সতর্কতার সঙ্গে অন্তর্দেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি সড়ক ও বিমান পরিবহনও ধীরে ধীরে চালু করা উচিৎ বলেও জানিছেন।।