সংক্ষিপ্ত
- করোনাভাইরাস নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই
- সোস্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর
- সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে সচেতন থাকা প্রয়োজন
- করোনা মোকাবিলায় জোট বেঁধে কাজ করবে দেশবাসী
করোনাভাইরাস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন মারণ এই জীবানু নিয়ে এখনই ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে প্রত্যেকেরই নিজের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরি। পাশাপাশি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশবাসীর কাছে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ সাংসদদের শান্তি ও ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে, দলীয় বৈঠকে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আরও পড়ুনঃ দিল্লির বন্দুকবাজ শাহরুখ পুলিশের জালে,জাফরাবাদে বন্দুক উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়া যুবক গ্রেফতার বরেলি থেকে
সোমবারই বলেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়তে চান তিনি। সেই নিয়ে বিস্তর জোলঘোলা হয়। কিন্তু মঙ্গলবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি ট্যুইটারে করোনাভাইস ইস্যুতে মুখ খোলেন। পরপর দুটি ট্যুইট করেন। যেখানে তিনি বলেছেন, নোভাল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রক ও রাজ্য প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছে। বিদেশ থেকে যাঁরা ভারতে আসছেন তাঁদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরের টুইটেই তিনি বলেন, করোনা নিয়ে এখনই ভয় পাওযার কোনও কারণ নেই। আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করছি। প্রত্যেকেরই নিজের সুরক্ষা নেওয়ার জন্য সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরি। একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল করোনার প্রকোপ এড়াতে সকলের জন্যই মৌলিক প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুনঃ রহস্যের উন্মোচন করলে খোদ মোদী, নারী দিবসে মহিলাদের উৎসর্গ করলেন সোশ্যাল মিডিয়া
প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস নিয়ে মন্তব্য করার আগেই তেলাঙ্গনা ও দিল্লিতে করোনায় আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে দুজনেরই অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। কিন্তু করোনার প্রকোপ রুখতে ইতিমধ্যে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন করোনা আক্রান্ত দেশগুলিতে ভ্রমণ এড়িয়ে চলার আবেদন জানিয়েছেন। বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজস্থান, উত্তর প্রদেশে পর্যটকদের চিহ্নিত করার কাজও শুরু হয়ে গেছে। করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত বিশ্বে প্রায় তিন হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত্র সংখ্যা ৯০ হাজারের কাছাকাছি।