সংক্ষিপ্ত
কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে তাণ্ডব চালিয়েছিল আমফান
সাতদিন পরেও তার দাপট যায়নি
এখন সে আটকে গিয়েছে উত্তরপূর্ব ভারতে
সেখানে টানা বৃষ্টিতে অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে
ক্রমেই দুর্যোগের নাগপাশ জাপটে ধরছে ভারত-কে। করোনা, ভূমিকম্প, পঙ্গপাল, তাপপ্রবাহ, সাইক্লোন-এর সঙ্গে এবার উত্রপূর্ব ভারতে চোখ রাঙাচ্ছে বন্য়ার ভ্রূকুটি। শুরু হয়েচিল অসমে, তারপর আরেক রাজ্য মেঘালয়-এ পড়েছে ব্যাপক বন্যার কবলে। বুধবার রাজ্যের ভূমি-রাজস্ব মন্ত্রী কিরম্যান শায়লা জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই ৫.২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। অসমে বিপর্যস্ত ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
এদিন শায়লা জানান, মেঘালয়ে এখনও পর্যন্ত অতিবৃষ্টির জনিত ঘটনায় কমপক্ষে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ মে তারিখে পল্লী উন্নয়ন ব্লকের এক প্রত্যন্ত গ্রামে, ব্রিংসন রনি নামে সোহিয়ানগ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি বন্যার জলস্রোতে ভেসে গিয়েছিলেন। এদিন তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপর দু'জনের মৃত্যুর বিবরণ এখনও পাওয়া যায়নি। এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ এবং ১১৯ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেইর ৪০০-রও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ৫,০০০ এরও বেশি লোক বিপর্যস্ত হয়েছেন।
তবে এর পিছনেও দায়ি সেই ঘূর্ণিঝড় আমফান। পশ্চিমবঙ্গে তাণ্ডব চালিয়ে আরও উত্তর দিকে এগিয়ে য়েতে যেতে সে ক্রমশ শক্তি হারিয়েছে। এখন উত্তরপূর্বে পাহাড় টপকাতে পারছে না সে। ফলে উত্তরপূর্বের রাজ্য গুলির উপরই সেই নিম্নচাপ ব্যবস্থা আটকে গিয়েছে। আর সমুদ্র থেকে যে বিপুল পরিমাণ জলকণা সে বয়ে এনেছিল, তাই এখন ঝড়ে পড়ছে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির উপর।
সরকারের পক্ষ থেকে এই দুর্যোগ সামাল দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য পাঁচটি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে। পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়ের ইলং এলাকায় বন্যার জলে আটকে পড়া দশ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পূর্ব খাসি পাহাড়, পশ্চিম খাসি পাহাড়, পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড় এবং পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড় - এই চার জেলার অবস্থা শোচনীয়। ভূমি-রাজস্ব মন্ত্রী জানিয়েছেন রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সতর্ক আছে। কারণ আগামী ১২ ঘন্টায় অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।