সংক্ষিপ্ত

  • রাজধানী দিল্লির নাগরিকদের অক্সিজেনের অভাব হবে না
  • আশ্বাস দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
  • উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক করেন কেজরিওয়াল
  • বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়


রাজধানী দিল্লির নাগরিকদের অক্সিজেনের অভাব হবে না। আশ্বাস দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক করেন কেজরিওয়াল। সেখানেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন দিল্লির প্রয়োজনীয় অক্সিজেন মজুত রয়েছে। 

এরই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন তিন মাসের মধ্যে রাজধানীতে করোনার টিকাকরণ শেষ করা হবে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেন প্রত্যেক নাগরিক যাতে এই করোনা মোকাবিলাতে প্রশাসনকে পাশে পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। দিল্লিতে শয্যার অভাব বা অক্সিজেনের মজুতের ঘাটতি যাতে না হয়, তার দিকে নজর দিতে হবে। 

এই বৈঠকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিশেষ নির্দেশ দেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেক দিল্লিবাসী যাতে ভ্যাকসিন পান, তার ব্যবস্থা করতে হবে। জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিদিন ২-৩টি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার পরিদর্শন করার জন্য। ত্রাণ শিবির ও বৃদ্ধাশ্রমগুলিতে আচমকা পরিদর্শনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যত বাড়ছে ততই চাহিদা বাড়ছে করোনা টিকার। ইতিমধ্যেই ১৮ উর্ধ্বদেরও টিকা গ্রহণের দরজা খুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে অধিকাংশ রাজ্যই তাদের কাছে প্রয়োজনীয় টিকা নেই বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে ৯০ লক্ষেরও বেশি করোনা টিকার ডোজ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির কাছে রয়েছে। আর আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে  আরও ১০ লক্ষ টিকার ডোজ পাঠান হবে। 

কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার জানিয়েছে, এপর্যন্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে বিনামূল্যে ১৭.৩৫ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ সরবরাহ করেছে। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে ১৬ কোটিরও বেশি ডোজ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৯০ লক্ষেরও বেশি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির কাছে মজুত রয়েছে। কিন্তু রাজ্যগুলির নেতিবাচক মনোভাবের জন্য সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে আরও ১০ লক্ষ ডোজ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হবে বলেও দাবি করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে।