সংক্ষিপ্ত

একজন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কীভাবেই বা প্রশাসনকে না জানিয়ে বিদেশে বসে রয়েছেন, এই অভিযোগ তুলেই শুরু হয় তদন্ত। তদন্ত শুরু হলে জানা যায়, মেয়েটির নাম বৈশালী যাদব।

রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধে বলি হতে হয়েছে ভারতকেও। ইউক্রেনে মেডিক্যালের পড়াশোনা উন্নতমানের হওয়ায় প্রতি বছর এই দেশ থেকে একাধিক পড়ুয়ারা পাড়ি দেয় সেখানে। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির আগে পর্যন্ত মোট ১৬ হাজারেরও বেশি ভারতীয়রা সেখানে বসবাস করত। যুদ্ধ পরিস্থিতি শুরু হওয়ার সময় থেকেই বহু ভারতীয় ফিরে আসেন নিজ দেশে। তবে বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই দেশেই আটকে যায় বহু ভারতীয় পড়ুয়া। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে নিজেদের যুদ্ধ পরিস্থিতি মধ্যে জীবন কাটানোর কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে শুরু করেন অনেকে। যুদ্ধের মধ্যে থেকে তাঁদের বের করে আনার আর্জি করতে থাকেন ভারতীয় দূতাবাসের কাছে। 

এই পরিস্থিতিতেই অন্যান্য ভিডিওগুলির মতো সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আরও একটি ভারতীয় পড়ুয়ার ভিডিও। সেই ভিডিওতে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করার আর্জি জানাতে থাকে সরকারের কাছে। তার আবেদনকে জনসমক্ষে ছড়িয়ে দিতে সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে যথারীতি মানুষ শেয়ার করতে শুরু করে সেই ভিডিও আর সেখান থেকেই উত্থান হয় এক নতুন সমস্যার। জানা যায় ভিডিওতে যে মেয়েটি আর্জি জানাচ্ছিল, সে আসলে একটি গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান। গোটা ঘটনা জানা জানি হতেই রীতিমতো হই হইচই শুরু হয়ে যায় লখনউ জুড়ে। 

আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা

আরও পড়ুন- “উনি নামেই যোগী, কিন্তু কর্মে ভোগী”, অখিলেশের প্রচারে ফের ঝড় তুলে বিজেপি তীব্র আক্রমণ মমতার

আরও পড়ুন- নির্দলের বিজয় মিছিলে তৃণমূলের হামলা, পাল্টা নির্দলীদের বিরুদ্ধে পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের

একজন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কীভাবেই বা প্রশাসনকে না জানিয়ে বিদেশে বসে রয়েছেন, এই অভিযোগ তুলেই শুরু হয় তদন্ত। তদন্ত শুরু হলে জানা যায়, মেয়েটির নাম বৈশালী যাদব। সে বিগত তিন বছর ধরে ইউক্রেনে মেডিক্যালের পড়াশোনা করছে। তার ইচ্ছা ইউরোপ থেকে তার ডাক্তারির পড়াশোনার অনুশীলন করা। সেই উদ্দেশেই ইউক্রেনে পাড়ি দেওয়া। তবে মেডিক্যালের পড়াশোনার চতুর্থ বছর আসতে আসতে সে নিজের গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান পদের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে দাঁড়ায়। ভাগ্যের খেলা প্রথমবার প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েই পঞ্চায়েত প্রধানের পদ ছিনিয়ে নেন তিনি। তারপর আবার ইউক্রেনেই চলে যান। সেখান থেকে নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি ভিডিও কলের মাধ্যমেই গ্রামের যাবতীয় কাজের দেখাশোনা শুরু করে সে। 
ইউক্রেনে আটকে পড়া হারদোই জেলার তেরা পুরসালি গ্রামের প্রধান বৈশালী যাদবের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর, কীভাবে তিনি অনুমতি ছাড়াই বিদেশে চলে গেলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে গ্রামে তার প্রধান পদে নির্বাচনের পিছনে অন্য সমীকরণ দেখতে পান গ্রামের অনেক বাসিন্দারা। বৈশালীর বাবা পঞ্চায়েত ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি। বাবার এই পদকেই কোনও ভাবে কাজে লাগিয়ে তাঁর উত্থান কি না এই নিয়ে রয়েছে বেশ দ্বন্দ্ব।