সংক্ষিপ্ত

  • লোকালয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল একটি কুমির
  • কর্নাটকের একটি গ্রামের ঘটনা
  • নদী থেকে কোনওভাবে লোকালয়ে চলে আসে
  • বন দফতরের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে

সকালে ঘুম থেকে উঠে মর্নিং ওয়াক করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখলেন, রাস্তায় আস্ত একটা কুমির ঘুরে বেড়াচ্ছে! দৃশ্যটা ভাবলেই কেমন যেন গা শিউরে উঠছে। এটাই অবশ্য স্বাভাবিক। আর সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার স্বাক্ষী থাকলেন কর্নাটকের উত্তরা কন্নড় জেলার কোগিলাবান্না গ্রামের বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন- কোভিডের বিরুদ্ধে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাকসিন, তথ্য প্রকাশ তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের 

বৃহস্পতিবার ভোরের ঘটনা। প্রতিদিনের মতোই ঘুম থেকে উঠে ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন বাসিন্দারা। এরপর রাস্তায় বেরিয়ে তাঁদের চোখ কপালে ওঠার জোগার হয়। দেখেন বাড়ির সামনের রাস্তায় একটি কুমির ধীর গতিতে হেঁটে বেড়াচ্ছে। তা দেখার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাসিন্দাদের মনে। আর সেই মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দী করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় সেই ভিডিও। সেখানে গ্রামের বাচ্চাদের ওই কুমিরের পিছনে পিছনে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। যদিও তার গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখায়নি কেউই। 

আরও পড়ুন- এখন ছোটো শিল্পের তকমা পাবে খুচরো ও পাইকারি ব্যবসা, 'ঐতিহাসিক পদক্ষেপ' বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর

খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ওই গ্রামে পৌঁছে কুমিরটিকে উদ্ধার করেন। তারপর তাকে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। কুমিরটি কালি নদী থেকে কোনওভাবে পথ ভুলে ওই গ্রামে ঢুকে পড়েছে বলে অনুমান বাসিন্দাদের। গ্রাম থেকে ওই নদীর দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। ওই নদীতে প্রচুর কুমির থাকে।

 

 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, "প্রায় আধ ঘণ্টা হেঁটে নদী থেকে ওই কুমিরটি গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। আমরা সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তবে আমরা তার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বন দফতরে খবর দিই। তারাই কুমিরটিকে উদ্ধার করে।" 

আরও পড়ুন- ৯৭ দিন পর দেশে ৫ লক্ষের নিচে নামল অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা, কমেছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ

যদিও কুমিরটি কাউকে আঘাত করেনি বলে জানা গিয়েছে। তাকে উদ্ধার করতে বন দফতরের প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লেগেছে। এ প্রসঙ্গে ডেপুটি ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার রামু গৌড়া বলেন, "কালি নদীতে প্রচুর কুমিরের বাস। সেখানেই তারা ডিম পাড়ে। আর কখনও নদী সংলগ্ন গ্রামগুলিতে ঢুকে পড়ে।"