সংক্ষিপ্ত
বুধবার পেগেসাস কেলেঙ্কারি নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে ৩২ সদস্যের সংসদীয় প্যানেল। জানা গিয়েছে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি এই বৈঠক করবে
মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পেগাসাস ইস্যুতে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরের দিনই সংসদীয় প্যানেল এই ইস্যুতে বৈঠক ডাকল। দিল্লি সফরে কেন্দ্রের ওপর চাপ তৈরি করাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য। আর সেই কাজে তিনি যে সফল, তা বলাই বাহুল্য। বুধবার পেগেসাস কেলেঙ্কারি নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে ৩২ সদস্যের সংসদীয় প্যানেল (Parliamentary panel )। জানা গিয়েছে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি এই বৈঠক করবে।
বৈঠকের পৌরহিত্য করবেন শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকদের ওপর কীভাবে পেগাসাস প্রভাব ফেলেছে, তা খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে শশী থারুর বলেন পেগাসাস নিয়ে প্যানেলের বহু সদস্যই আলোচনা করতে চাইছেন। তাঁদের দাবি মেনে নিয়েই বৈঠকে বসতে চলেছে প্যানেল। লোকসভা সচিবালয় থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এই ইস্যু “Citizens' data security and privacy” তালিকায় রাখা হয়েছে।
প্যানেলের বেশিরভাগ সদস্যই বিজেপির। প্যানেলের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চান না বেশিরভাগ বিজেপি সাংসদ। তবে তাঁদের দাবি বৈঠকের তথ্য যেন প্রকাশিত না হয়।
মঙ্গলবার সংসদীয় প্যানেলের এক বিজেপি সদস্য জানান “The agenda of the meeting should not be made public. As per rules, confidentiality should be maintained. Agenda became public before meeting. Agenda should be fixed with consent of committee members. We have boycotted the meet,” ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর মোদীর বাসভবনের বাইরে দাঁড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, পেগাসাস কেলেঙ্কারি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা উচিত। বিরোধী দলীয় নেতারা, দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং ৪০ জন সাংবাদিক এই ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে নজরদারি করার সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে। এই স্পাইওয়্যার শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের সরকারদেরই বিক্রি করা হয়। তাই এই ঘটনার সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে তদন্ত হওয়া উচিত। প্রসঙ্গত ই সম্ভাব্য লক্ষ্যের তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও রয়েছেন। ইতিমধ্যেই মমতা সরকার এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিদের নেতৃত্বে একটি তদন্তের ঘোষণা করেছে।