সংক্ষিপ্ত
মেহবুবা মুফতি বলেন ভারতীয় মুসলমানদের জন্য ভারতীয় হওয়াই যথেষ্ট নয়, তাদেরও বিজেপি হতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীর একটি রাজনৈতিক বিষয় কিন্তু তারা অর্থাৎ বিজেপি এটিকে একটি সম্প্রদায়ের বিষয় করতে চায়।
দেশ জুড়ে হিজাব নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই নয়া আশঙ্কা প্রকাশ কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির (former Jammu and Kashmir CM and PDP chief Mehbooba Mufti)। এদিন বিজেপিকে (Bharatiya Janata Party) আক্রমণ করে মুফতি বলেন হিজাব নিয়ে ধুয়ো (row over hijab) তুলেই থামবে না বিজেপি। মুসলিমদের অন্যান্য প্রতীক নিয়েও ইস্যু করা হবে। কারণ বিজেপি মুসলিমদের সব প্রতীক মুছে ফেলতে চায়।
শনিবার শ্রীনগরে মেহবুবা মুফতি বলেন "আমার ভয় হয় বিজেপি হিজাবে থামবে না। তারা মুসলমানদের অন্যান্য প্রতীকের জন্যও প্রতিবাদ তৈরি করবে ও সব মুছে ফেলবে। ভারতীয় মুসলমানদের জন্য ভারতীয় হওয়াই যথেষ্ট নয়, তাদেরও বিজেপি হতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীর একটি রাজনৈতিক বিষয় কিন্তু তারা অর্থাৎ বিজেপি এটিকে একটি সম্প্রদায়ের বিষয় করতে চায়।"
কর্ণাটকের উদুপি জেলার গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে চৌঠা ফেব্রুয়ারী হিজাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়। কিছু ছাত্রী অভিযোগ করে যে তাদের হিজাব পরিধান করে ক্লাসে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল।
এই বিষয়ে কড়া বার্তা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, এই মামলা জাতীয় ইস্যু নয়, তাই এর জরুরি ভিত্তিতে শুনানি (refusing urgent hearing) প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, দেবদত্ত কামাত কর্ণাটকের কলেজ এবং স্কুলগুলিতে হিজাব বিতর্কের বিষয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী আদেশে এসএলপি দায়ের করেছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত এই মামলার জরুরী শুনানি প্রত্যাখ্যান করে এবং বলেছে যে কর্ণাটক হাইকোর্টকে প্রথমে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট কামাতকে আরও বলে যে বিষয়টিকে দিল্লিতে না আনতে এবং এটিকে একটি জাতীয় ইস্যু না বানাবার নির্দেশ দিয়েছে। এর উত্তরে দেবদত্ত কামাত জানান, কর্ণাটক হাইকোর্ট একটি অদ্ভুত আদেশ দিয়েছে। কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশে যে কেউ ধর্মীয় পোশাক পরবেন না বা ধর্মীয় পরিচয়ের প্রতীক ব্যবহার করবেন না, যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে দেশে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দেবদত্ত কামাত।
কামাত ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনাকে বলেছিলেন যে আর্টিকল ২৫ দেশের এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কর্ণাটক হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই জরুরী ভিত্তিতে মামলার শুনানি করছে এবং মামলার রায় এখনও আসেনি। মামলার রায়ের ওপর ভিত্তি করে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে যে তারা এই মামলার শুনানি করবে কিনা।
CJI এই ইস্যুকে বৃহত্তর স্তরে ছড়িয়ে না দেওয়ার জন্যও কামাতকে আবেদন করে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, "একটু ভেবে দেখুন, এই ইস্যুগুলিকে দিল্লিতে নিয়ে আসা কি ঠিক... জাতীয় স্তরে... কিছু ভুল হলে আমরা রক্ষা করব..."। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা জানান বিষয়টি ভেবে দখবেন তাঁরা।