সংক্ষিপ্ত

গনসালভেস জানান, এই মামলাটির দ্রুত শুনানি জরুরি। কারণ এর সঙ্গে শিশুদের জীবন জড়িয়ে রয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে করোনা টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় কোনও শিশুর প্রাণ না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

শিশুদের (Child) করোনা টিকা(Corona Vaccine) কি আদৌও নিরাপদ। প্রশ্ন তুলে ও শিশুদের করোনা টিকার নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের (PIL In Supreme Court)। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের ভ্যাকসিনেশনকে (COVID Vaccination For Children) চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদৌ শিশুদের টিকা নিরাপদ কিনা, তা নিয়ে তদন্ত করুক সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত সংস্থা, এমনই দাবি জানানো হয়েছে আবেদনকারীর পক্ষে। তাদের দাবি ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়েসীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে আরও ভাবনা চিন্তা প্রয়োজন। এই টিকার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে, সে নিয়েও গবেষণা প্রয়োজন বলে দাবি করা হয়েছে মামলায়। 

যে পাঁচ ব্যক্তি পৃথক ভাবে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকে নিজেদের সন্তানকে করোনা ভাইরাসের টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সিনিয়র অ্যাডভোকেট কলিন গনসালভেস সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি হিমা কোহলির  সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের সামনে বিষয়টির জরুরী আলোচনার অনুমতি চান। 

গনসালভেস জানান, এই মামলাটির দ্রুত শুনানি জরুরি। কারণ এর সঙ্গে শিশুদের জীবন জড়িয়ে রয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে করোনা টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় কোনও শিশুর প্রাণ না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান পিটিশনে অরবিন্দ কুশওয়াহা (AIIMS, নাগপুর), অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় (ক্লিনিকাল এপিডেমোলজিস্ট), সঞ্জয় রাই (AIIMS, দিল্লি), জয়প্রকাশ মুলিয়েল (CMC, ভেলোর)কে রেখে একটি বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠনের আদেশ চাওয়া হয়েছে।

এই বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তৈরি করা কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক-দাবি করেছে পিটিশনকারীরা। এদিকে, ভারতে মার্চ মাসেই শুরু হয়ে যেতে পারে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। কারণ বর্তমানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৫-১৮ বছর বসয়ীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা পেয়েছে। সেই কারণে আগামী মার্চ মাস থেকেই ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য পরিসংখ্যান তুলে বিশেষজ্ঞ এনকে আরোরা জানিয়েছেন ১৫-১৮ বছর বয়সীদের সংখ্যা প্রায় ৭.৪ কোটি। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৭ কোটি ৪০ লক্ষ ৫৭ হাজার করোনাভাইরাসের টিকা দেওযা হয়েছে। আগামী ২৮ দিনের মধ্যে এই গ্রুপের সদস্যদের দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া হবে। এই বয়সের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে টিকা কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই বয়সের সদস্যরা প্রায় সকলেই টিকা পেয়ে যাবে বলেও তিনি আশাবাদী। 

UP Opinion Poll 2022: প্রিয়াঙ্কা ম্যাজিক কাজ করবে না, উত্তর প্রদেশের আস্থা যোগীর ওপর

UP Poll 2022: পরিবারের কাছ থেকে বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন অখিলেশ, ঘরের বউ যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে

পেট্রাপোল সীমান্তে BSF-এর জোরদার তল্লাশি, দুদিনে ধরা পড়ল ৮২টি জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স