সংক্ষিপ্ত
উত্তরপ্রদেশের হারদোইতে বিজেপির সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে এখানকার লোকেরা দেখেছে কীভাবে সমাজবাদী পার্টি সরকারে থাকাকালীন 'কট্টা' (দেশে তৈরি পিস্তল) ব্যবহারকারীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিল।
রবিবার উত্তর প্রদেশে একটি নির্বাচনী সমাবেশে বিরোধী দলগুলিকে তীব্র কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Prime Minister Narendra Modi)। এদিন মোদী আহমেদাবাদ বোমা বিস্ফোরণের (2008 Ahmedabad Serial Blasts Cases) উল্লেখ করে বলেন এমন বেশ কিছু রাজনৈতিক দল (Some Parties) রয়েছে, যারা এই বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্তদের প্রতি সহানুভূতিশীল (Sympathetic)। এরপর মোদী সরাসরি তৎকালীন শাসক দল সমাজবাদী পার্টিকে এই হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য অভিযুক্ত করেন।
উত্তরপ্রদেশের হারদোইতে বিজেপির সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে এখানকার লোকেরা দেখেছে কীভাবে সমাজবাদী পার্টি সরকারে থাকাকালীন 'কট্টা' (দেশে তৈরি পিস্তল) ব্যবহারকারীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ জুলাইয়ে কেঁপে উঠেছিল গুজরাট। মাত্র ৭০ মিনিটের ব্যবধানেই গোটা শহরজুড়ে পরপর ২১টি বিস্ফোরণ হয়। আর বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৫৬ জনের। বিস্ফোরণের কয়েকদিন পরে সুরাট থেকে ২৯টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহমেদাবাদে মোট ২০টি এফআইআর ও সুরাটে ১৫টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এরপর এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল গুজরাটের বিশেষ আদালতে। আর সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তখন তিনি বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম) এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার প্রতিশোধ নিতেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে জঙ্গি সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছিল। সব থেকে বড় বিষয় হল, বিস্ফোরণের আগে একাধিক সংবাদ মাধ্যমকে ইমেলের মাধ্যমে হামলার কথা জানিয়েছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদ্দিন। আর এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল বাংলার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী বাবুভাইও।
সেই ঘটনার উল্লেখ করে মোদী বলেন কিছু দল এখনও রয়েছে যারা এই জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন সমাজবাদী পার্টি সরকার বেশ কয়েকজন জঙ্গির বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করেন মোদী। ১৮ই ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৪৯ জনের মধ্যে ৩৮ জনকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। আর বাকি ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১৩ বছর ধরে চলছিল এই মামলা। অবশেষে শুক্রবার এই মামলায় রায় ঘোষণা করল আহমেদাবাদের বিশেষ আদালত। ওই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মোট মৃত্যু হয়েছিল ৫৬ জনের। আর জখমদের সংখ্যা ছিল শতাধিক। তদন্তের পর এই ঘটনার জন্য মোট ৪৯ জনকে দায়ী করা হয়েছিল। এরপর তাদের সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত।