সংক্ষিপ্ত
- 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে মিলখা সিংকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- অলিম্পিক্সের কথা উঠলেই মিলখা সিংয়ের কথা মনে পড়ে যায় বলে জানান
- করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চিকিৎসকদের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন
- করোনা মোকাবিলায় দেশবাসীকে টিকা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন
চলতি বছরের ১৮ জুন প্রয়াত হন কিংবদন্তি অ্যাথলিট মিলখা সিং। আজ 'মন কি বাত'-এর অনুষ্ঠানের ৭৮তম পর্বের শুরুতেই তাঁকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অলিম্পিক্সের কথা উঠলেই মিলখা সিংয়ের কথা মনে পড়ে যায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ছাড়াল ৫০ হাজার, বাড়ল মৃতের সংখ্যা
বলেন, "যখন অলিম্পিক্সের কথা ওঠে, তখন আমরা কী করে মিলখা সিংহকে স্মরণ না করে থাকি। তিনি যখন হাসপাতালে ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম, যে সব অ্যাথলিট টোকিও অলিম্পিক্সে অংশ নিতে যাচ্ছেন তাঁদের উৎসাহিত করতে।"
এরপর টোকিও অলিম্পিক্সে যোগ দিতে যাওয়া সব অ্যাথলিটদের পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "টোকিওতে যাওয়া প্রতিটি খেলোয়াড়ের নিজস্ব লড়াই রয়েছে আর বহু বছর ধরে তাঁরা এর জন্য পরিশ্রম করেছেন। তাঁরা কেবল নিজেদের জন্যই নয়, দেশের জন্য যাচ্ছেন। বন্ধুরা, এরকম অসংখ্য নাম রয়েছে, তবে মন কি বাতে আজ আমি কয়েকটি নাম উল্লেখ করতে পেরেছি।" এরপর একে একে নেহা গোয়াল, দীপিকা কুমারি, প্রবীণ যাদবদের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- করোনা টিকা নিয়ে দ্বিধা কাটাতে মোদীর মুখে 'মা'-এর কথা, জেনে নিন তাঁর 'মন কি বাত'
এছাড়া ওই অনুষ্ঠানে টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও দেশবাসীকে জানিয়েছেন মোদী। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় টিকাই একমাত্র উপায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞরা। কিন্তু, এখনও বহু মানুষের মনেই টিকা নিয়ে একটা অনীহা রয়েছে। টিকা নিতে চান না অনেকেই। আবার টিকাকরণ নিয়ে বহু গুজবও রটানো হয়েছে। আর তা নিয়েই 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি জানান, তিনি নিজে টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন। তাঁর মায়ের বয়স প্রায় ১০০ বছর। তাঁর মাও টিকা নিয়েছেন। তাঁদের কারও কিছুই হয়নি। তাই টিকাকরণ সম্পর্কিত নেতিবাচক গুজবগুলি বিশ্বাস না করার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ করেছেন। তার পরিবর্তে বিজ্ঞান ও দেশের বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মোদী বলেন, "টিকাগুলি প্রস্তুত করার জন্য বিজ্ঞানীদের কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে জানেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তাঁরা এই টিকাগুলি প্রস্তুত করেছেন। তাই আমাদের বিজ্ঞান, বিজ্ঞানীদের উপর ভরসা রাখা দরকার।"
আরও পড়ুন- কোভিডের কোপে রক্তশূন্য রায়গঞ্জের ব্লাড ব্যাঙ্ক, সাহায্য়ের হাত এগোলেন প্রশাসনিক কর্তারা
পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ নিয়েও সকলকে এগিয়ে আসতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চিকিৎসকের ভূমিকাও স্মরণ করেন তিনি। আগামী ১ জুলাই বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন। ওই দিন দেশে চিকিৎসক দিবস পালিত হয়। এবছর করোনা আবহে চিকিৎসক দিবসের মাহাত্ম্য আরও প্রাসঙ্গিক হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।