সংক্ষিপ্ত

কংগ্রেস সূত্রের খবর ইস্তফা দেওয়ার মাত্র এক ঘণ্টা আগে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে নভজ্যোৎ সিং সিধু থেকে শুরু করে পঞ্জাবে চলা কৃষক আন্দোলন, পুলিশ পদক্ষেপ, বিদ্যুতের দাম- সব কিছুই গিয়েছিলেন।

পঞ্জাবের উত্তপ্ত রাজনীতির আঁচ পড়েছে গোটা দেশেই। দীর্ঘ দিনের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। যদিএ কংগ্রেসেরই একটি সূত্র বলছে তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কী এমন হয়েছিল যে ক্যাপ্টনকে পদত্যাগ করতে হল? আর পদত্যাগের আগে ক্যাপ্টেন কী লিখেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে?

কংগ্রেস সূত্রের খবর ইস্তফা দেওয়ার মাত্র এক ঘণ্টা আগে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে নভজ্যোৎ সিং সিধু থেকে শুরু করে পঞ্জাবে চলা কৃষক আন্দোলন, পুলিশ পদক্ষেপ, বিদ্যুতের দাম- সব কিছুই গিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন তাঁর সরকার ২০১৭ সালে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জিতে ছিল তার ৮৯ শতাংশই পুরণ করেছে। বাকিগুলির ওপর কাজ চলছে। 

Babul Supriyo: রামদেব বাবা থেকে মশলামুড়ি, বাবুল সুপ্রিয়র বর্ণময় রাজনীতির ৭ বছর

তাঁর বিরুদ্ধে সিধুকে মদত দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে তিনি সিধুর অভিযোগের পাল্টা উত্তর দেন। ২০১৫ সালে ফরিদকোটায় ধর্মস্থানে পুলিশের গুলি চালানোর মামলায় দেরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন সিধু। তার উত্তর দিতে গিয়ে অমরিন্দর সিংবলেন এপ্রিলমাসে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এই মামালর তদন্ত বাতিল করেছিল। তিনি আরও বলেছেন বিজেপি ও অকালি দলের সরকার মামলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সিবিআইএর চাপও ছিল তার সরকারের ওপর। তাও তাঁর সরকারি ২৪ জনকে চার্জশিট গিয়েছে। ১৫ জন পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ জনকে। 

'অপমানিত' হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন অমরিন্দর সিং, তবে কি সিধুর সঙ্গে ঠান্ডাযুদ্ধে হার ক্যাপ্টেনের

বিদ্যুতের বিলের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, আগের সরকারের কারণেই পঞ্জাবে বিদ্যুতের বিল বেশি হয়। কিন্তু তাঁর সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। কৃষকদের সুবিধের জন্য করছাড়ও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি ঋণ, মাদক চোরাচালান, বেকারত্ব নিয়ন্ত্রণসহ একাধিক সমস্যা সমাধানে তার সরকার কী কী করেছে তারও বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন তিনি। 

অপমান সহ্য করে আর মুখ্যমন্ত্রী থকবেন না, পঞ্জাব কংগ্রেসের রাজনৈতিক সংকট বাড়িয়ে ইস্তফার পথে ক্যাপ্টেন

যদিও কংগ্রেসের একটি সূত্রের দাবি, ক্যাপ্টেনকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না দিল্লি থেকে। অনেকটা নিজের ইচ্ছেমতই তিনি পঞ্জাব শাসন করেছিলেন। যা পছন্দ নয় রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার। রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা দুজনেই চাইছেন পঞ্জাবের দায়িত্ব এমন কারও হাতে থাকুক যাকে তাঁরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তাছাড়াও ক্য়াপ্টেনের বিরুদ্ধে পঞ্জাবের বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ছিল। সেই কারণে মোদী অমিত শাহর দেখানো পথেই তাঁকে ছেঁটে ফেলতে চেয়েছিল দিল্লি কংগ্রেস। কিন্তু ক্যাপ্টেন যে এতটা বিদ্রোহ করবে তার আঁচ হয়তো করতে পারেনি হাইকম্যান্ড। 

YouTube video player