সংক্ষিপ্ত
রাইসিনা ডায়লগ ২০২২এর একটি অধিবেশনে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেন বিলিয়নেয়ার এলন মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়া টুইটার কেনার বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে উন্মুক্ততা , নিরাপত্তা আর আস্থার প্রত্যাশা অক্ষুন্ন থাকবে
কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বুধবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মের ভারতের যেসব আইনগুলি রয়েছে সেগুলি আপাতত চলবে। কোনও আইনই পরিবর্তন করা হবে না। টুইটার কিনে নিয়েছেন বিশ্বের ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল এবার কি তবে পরিবর্তন করা হবে ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় আইন। এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মালিকের ওপর ভিত্তি করে ভারত আইন পরিবর্তন করবে না।
রাইসিনা ডায়লগ ২০২২এর একটি অধিবেশনে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেন বিলিয়নেয়ার এলন মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়া টুইটার কেনার বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে উন্মুক্ততা , নিরাপত্তা আর আস্থার প্রত্যাশা অক্ষুন্ন থাকবে। কে তার মালিক তার ওপর নির্ভর করে নয়। এতদিন পর্যন্ত যে আইন লাগু ছিল আগামী দিনেও সেটি বজায় থাকবে।
রাজীব চন্দ্রশেখর আরও জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় থেকে প্রতিক্রিয়ার সুযোগ এখন অনেক বেশি। তার এই মাধ্য়মে কথোপকথনের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। তবে এই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে যে জাতীয় অপরাধ হচ্ছে তারও বিরোধীতা করেছেন।
রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন ব্যবহারকারীদের ক্ষতি কী তার নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমত্যে আসতে হবে। এই জন্য এই প্ল্যাটফর্মগুলিকে আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করতে হবে। ভারতের আইনের ৭৯ নম্বর ধারায় এই প্ল্যাটফর্ম ও ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা প্রদান করে। কিন্তু এর পারস্পরিক প্রভাব আর নিরাপত্তা আইন ও প্রটোকলের মধ্যে পড়া দরকার। তিনি আরও বলেন এটি যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের কোনও ক্ষতি করবে না ততক্ষণই এই জাতীয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিরাপত্তা পাবে। ব্যবহারকারীদের কোনও ক্ষতি হলেও আইন ও তদন্ত- এই দুইয়ের আশ্রয় নেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেছেন, অ্যালগরিদম নিয়ে পক্ষপাত রয়েছে। এটা একাধিকবার সামনে এসেছে। যে কোডাররা অ্যালগরিদম কোড করে তাদের জীবন সম্পর্কে তাগের নিজস্ব মতামত রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় বড় বড় প্ল্যাটফর্মগুলিতে সংস্থার কর্মীরাই বিশেষ পক্ষের হয়ে কাজ করে। সেক্ষেত্রে যে অ্যালগরিদমই ব্যবহার করা হোক না কেন তার জন্য সংস্থাকে জবাবদেহীতা করতে হবে। পরিকাঠামোকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এজাতীয় কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। টুইটার অধিগ্রহণ করে মাস্ক বলেছেন এটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টা করবেন তিনি।