সংক্ষিপ্ত

রাজীব গান্ধী হত্যার দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যতম আসামী পেরারিভালান ৩১ বছর পর মুক্তি পাচ্ছেন। বুধবার এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

রাজীব গান্ধী হত্যার দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যতম আসামী পেরারিভালান ৩১ বছর পর মুক্তি পাচ্ছেন। বুধবার এই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এবং দেশের শীর্ষ আদালতের এই রায়ে নলিনী শ্রীহরণ এবং তার স্বামী মুরুগান, এখজন শ্রীলঙ্কার নাগরিক সহ ৬ জন দোষীর মুক্তির সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। যদিও পেরারিভিলানের ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। প্রতিমাসে তাঁকে নিয়ম করে নিকটবর্তী থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। 

রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় অন্যতম আসামী এজি পেরারিভালান। তিনিই হত্যাকারীদের বিস্ফোরক পদার্থ সরবারহ করেছিলেন। ১৯৯১ সালের ১১ জুন পেরিয়ার থিডাল থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর আদালতের নির্দেশে কারাগারেই ৩১ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। অবশেষে  ৩১ বছর পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এবার মুক্তি পাচ্ছেন রাজীব গান্ধী হত্যার দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যতম আসামী পেরারিভালান।

আরও পড়ুন, অসমে ভয়াবহ বন্যায় বিচ্ছিন্ন রেল, অগ্নিমূল্য বিমানভাড়া, জানুন কী দামে বিকোচ্ছে টিকিট

রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এজি পেরারিভালানকে ১৯৯১ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী-সহ আরও ৪৩ জনকে হত্যা করার জন্য যে বেল্ট বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাটারি কেনার অভিযোগ ছিল পেরারিভালানের বিরুদ্ধে। ১৯৯৯ সালে, এই হত্যাকাণ্ডে তার ভূমিকার জন্য, তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৪ সালে, অবশ্য মৃত্যুদণ্ড সাজার বদলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। এরপর ২০১৬ সালে মাদ্রাস হাইকোর্টে সে সাজা কমানোর আবেদন করেছিল। কিন্তু, হাইকোর্ট সেই মামলা শুনতে অস্বীকার করায়, সে ওই বছরই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। ২০১৮ সালে, তামিলনাড়ুর তৎকালীন এআইএডিএসকে সরকার রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় পেরারিভালান এবং আরও ছয়জনের জন্য অকাল মুক্তির সুপারিশ করেছিল। 

আরও পড়ুন, কয়লাকাণ্ডে অভিষেককে কলকাতায় জিজ্ঞেস করুক ইডি, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের ২১ মে, ভারতের তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় মৃত্যু হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গিয়েছিল তাঁর দেহ। আশপাশের বহু মানুষ হতাহত হয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কার তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম বা এলটিটিই-এর সদস্য থেনমোঝি রাজারত্নম ছিল প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। তার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল, কাউন্সিল অফ খালিস্তান গোষ্ঠীর ডক্টর জগজিৎ সিং চৌহান এবং খালিস্তান লিবারেশন ফোর্সের গুরজন্ত সিং বুধসিংহওয়ালা। তার আগে, শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে ভারতীয় শান্তি রক্ষা বাহিনী পাঠিয়ে সেই দেশের সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। তারই বদলা নিতে এই হামলা হয়েছিল। 

আরও পড়ুন, 'কলমে কালি না এলে, লেখা যাবে না', নাড্ডা-সাক্ষাত শেষে ফের ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা অর্জুনের