সংক্ষিপ্ত

নয়াদিল্লি ইতিমধ্যেই তার নেক্সট জেনারেশন ব্রহ্মস মিসাইল মালয়েশিয়াকে অফার করতে চলেছে। আর আগে থেকেই মালয়েশিয়া ভারতের এই ব্রহ্মস মিসাইল ক্রয়ের জন্য ভারতের সাথে কথাবার্তা চালাচ্ছিল।

চিনকে টপকে মালয়েশিয়ার কাছাকাছি ভারত। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম খাতে বড়সড় চুক্তি এই দুই দেশের। এতে অস্ত্র রফতানি দেশ হিসেবে আরও তালিকার ওপরে উঠে এল নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়াই বি দাতো ‘সেরি হিশামুদ্দিনতুন হুসেনের সাথে একটি ভিডিও কনফারেন্স করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

জানা গিয়েছে, মালয়েশিয়ার সঙ্গে তেজস ফাইটার জেটের বড় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। এই চুক্তি অনুসারে মালয়েশিয়াকে ১৮টি হালকা যুদ্ধ বিমান বা LCA অর্ডার সরবরাহ করবে ভারত। প্রস্তাবিত প্যাকেজ চুক্তিতে রাশিয়ান-অরিজিন সুখোই সু-৩০ ফাইটার জেটগুলির রক্ষণাবেক্ষণ এবং অতিরিক্ত জিনিসগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর বিনিময়ে আর মালয়েশিয়া চার বিলিয়ন মালয়েশিয়ান অর্থের অর্ধেক অর্থ ভারতকে ক্যাশ হিসাবে দেবে আর বাকি অর্ধেক অর্থের পামঅয়েল দেবে। 

দুই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই বৈঠকে উঠে আসে ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পগুলির গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের কথা, যাতে সাহায্য করতে পারে মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার মন্ত্রী শান্তিরক্ষা মিশনে নারী কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষই এই বিষয়ে একে অপরকে যুক্ত করতে সম্মত হয়েছে। মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ ত্রাণ (এইচএডিআর) অপারেশনগুলির জন্য সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। 

দুই মন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে মালয়েশিয়া ইন্ডিয়া ডিফেন্স কোঅপারেশন মিটিং (MIDCOM) কাঠামো আরও জোরদার করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন। জানা গিয়েছে পরবর্তী MIDCOM জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। প্রতিরক্ষায় গভীর সহযোগিতার জন্য এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রক জানিয়েছে।

এছাড়াও যে গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে, তা হল নয়াদিল্লি ইতিমধ্যেই তার নেক্সট জেনারেশন ব্রহ্মস মিসাইল মালয়েশিয়াকে অফার করতে চলেছে। আর আগে থেকেই মালয়েশিয়া ভারতের এই ব্রহ্মস মিসাইল ক্রয়ের জন্য ভারতের সাথে কথাবার্তা চালাচ্ছিল। কারণ সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশেই জানে ভারতের এই ব্রহ্মস মিসাইল এর ক্ষমতা। এরই মধ্যে, মালয়েশিয়ার সুখোইয়ের জন্য ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL's) এর অতিরিক্ত জিনিসপত্র এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার সাহায্য নেবে ওই দেশ। 

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া ১৯টি Su-20MKM ফাইটার পরিচালনা করে যেগুলি Su-30MKI সংস্করণের মত, এর পরিষেবা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ভারত দিতে পারে। এরই সাথে ভারত মালয়েশিয়াকে রাডার সিস্টেম বিক্রি করতে চাইছে। অর্থাৎ ভারতের তেজস ফাইটার জেটকে আরো শক্তিশালী করার জন্য যে সকল মিসাইল সিস্টেমের প্রয়োজন তার সবকিছুই মালয়েশিয়াকে দিতে যাচ্ছে নয়াদিল্লি।  

মালয়েশিয়াকে ভারতের দেওয়া এলসিএ-তে একটি আধুনিক AESA রাডার, নতুন এভিওনিক্স এবং বিভিন্ন ধরনের বায়ু থেকে আকাশ এবং স্থল থেকে আকাশ মিসাইল রাখার ক্ষমতা আছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীও ভিজ্যুয়াল রেঞ্জের বাইরে এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য একটি অর্ডার দিয়েছে।