সংক্ষিপ্ত
- এনআরসির চুড়ান্ত তালিকায় নাম নেই অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় সেনা অফিসার মহম্মদ সানাউল্লার
- কার্গিল যুদ্ধে লড়াই করে পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পদক
- গত বছর ফরেনার্স ট্রাইবুনাল তাঁকে বিদেশী বলে রায় দেয়
- ২০০৮ সালেই অসম সরকার তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল
এনআরসির চুড়ান্ত তালিকাতেও জায়গা করে নিতে পারলেন না অবসর প্রাপ্ত ভারতীয় সেনা অফিসার মহম্মদ সানাউল্লা। কার্গিল যুদ্ধেও তিনি লড়াই করেছিলেন। কিন্তু গত বছর ফরেনার্স ট্রাইবুনালের এক রায়েই তিনি বিদেশী হয়ে গেলেন। শনিবার প্রকাশিত অসম এনআরসির চুড়ান্ত তালিকা থেকেও বাদ পড়লেন সানাউল্লা ও তাঁর পরিবার।
এই প্রাক্তন সেনা অফিসারকে ২০১৮ সালে ফরেনার্স ট্রাইবুনাল 'বিদেশী' বলে ঘোষণা করেছিল। ফরেনার্স ট্রাইবুনাল-এর এই রায়ের বিরুদ্ধে গৌহাটি উচ্চ আদালতে মামলা করেছিলেন সানাউল্লা কিন্তু সেই মামলাটি এখনও আদালতে ঝুলে রয়েছে। তাই আরও ১৯ লক্ষ মানুষের মতো তিনিও চুড়ান্ত এনআরসি তালিকাতেও স্থান করে নিতে পারেননি।
আরও পড়ুন - বৈধ নাগরিক, কিন্তু এনআরসি-তে নাম নেই, কী করবেন তাহলে, জেনে নিন
আরও পড়ুন - অসমে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হল , নাম নেই ১৯ লক্ষ মানুষের
আরো পড়ুন - লাগবে ৪০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা, এনআরসি-তে 'নাম তুলতে' ১২০দিন সময়সীমা
আরো পড়ুন - স্ত্রীর নাম থাকবে কি এনআরসি তালিকায়, আতঙ্কে আত্মঘাতী স্বামী
তবে তাঁর 'বিদেশী' হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। অসম সরকারে পক্ষ থেকে ২০০৮ সালে তাঁকে নাগরিকত্ব প্রমাণের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই গত বছর কামরুপের ফরেনার্স ট্রাইবুনাবল তাঁকে 'ডি ভোটার' অর্থাৎ ডাউটফুল বা সন্দেহজনক ভোটার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তাঁকে আটকও করা হয়। পরে অবশ্য গৌহাটি হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেয়।
১৯৮৭ সালে ভারতীয় সেনা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন সুবেদার সানাউল্লা। তিনি জম্মু কাশ্মীরে দুইবার ও মণিপুরে একবার নিযুক্ত ছিলেন। কার্গিল যুদ্ধে লড়েওছেন। সাহসিকতার জন্য পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পদকও।