সংক্ষিপ্ত

হাজার হাজার টুইটার ব্যবহারকারী এই ভিডিওটিতে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করেছেন। ওই রেলকর্মী এটিভিএম অর্থাৎ অটোমেটেড টিকিট ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট বের করে আনছেন, যা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হলেও, অত্যন্ত দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে এই কাজ করে চলেছেন তিনি।

আপনি কি লোকাল ট্রেনে ভ্রমণ করেন? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে রোজকার জীবনের গতির সঙ্গে আপনি পরিচিত। রোজ ছুটে ট্রেন ধরা, মান্থলি না থাকলে টিকিটের লাইনে দাঁড়ানো, তারপর টিকিট কাউন্টারের ব্যক্তির গতিহীন কাজে বিরক্ত আপনি একটার পর একটা ট্রেন মিস করতে থাকেন। এই তো রোজকার জীবন। 

এই গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে সবথেকে বিরক্তিকর কাজ হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটা। তবে এখন যে ছবি আপনাকে দেখাবো, সেটা দেখে হয়তো আপনার মনে হবে স্বপ্ন। কারণ কেউ যদি আপনাকে বলে আধ ঘন্টা নয়, কয়েক সেকেন্ডে আপনি আপনার টিকিট পাবেন, তবে কি তা বিশ্বাস করবেন?

বিশ্বাস না করাই স্বাভাবিক। কিন্তু এমনই হয়ে চলেছে, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। মুম্বই লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের কাছেও এ এক স্বপ্ন। টুইটারে উঠে এসেছে এমন এক ব্যক্তির কথা, যিনি ১৫ সেকেন্ডে ছাপতে পারেন তিনটি টিকিট। তাঁর কাজের গতি দেখলে মাথা খারাপ হওয়ার দশা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। 

দেখা গিয়েছে প্রাক্তন ওই রেলকর্মী অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে হাত চালিয়ে ১৫ সেকেন্ডে তিনটি টিকিট বের করে আনছেন। পরপর বেরিয়ে আসছে টিকিট। প্রতিটি টিকিটের গন্তব্য কিন্তু ভিন্ন। অদ্ভুত দক্ষতায় এই কাজ করে চলেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের টুইটার পেজে এই ভিডিও পোস্ট করেছে মুম্বই রেলওয়ে ইউজার নামের একটি গ্রুপ। 

হাজার হাজার টুইটার ব্যবহারকারী এই ভিডিওটিতে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করেছেন। ওই রেলকর্মী এটিভিএম অর্থাৎ অটোমেটেড টিকিট ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট বের করে আনছেন, যা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হলেও, অত্যন্ত দ্রুততা ও দক্ষতার সঙ্গে এই কাজ করে চলেছেন তিনি। যা মন কেড়ে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই নিজেদের স্টেশনে এই ব্যক্তির অনুপস্থিতির জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। অনেকে আবার কুর্ণিশ জানিয়েছেন তাঁর কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও দক্ষতাকে। 

একজন ব্যবহারকারী আরও লিখেছেন, "যখন আপনি জীবনে কিছু করার জন্য পেটে আগুন নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে কিছু করছেন, সেই ফলাফলকে বলা হয় অসাধারণ কিছু অর্জন করা যা এখানে এই ব্যক্তি অর্জন করতে পেরেছেন। মুখে হাসি, ব্যথা সেই সঙ্গে কাজের জন্য চোখে আগুন দেখা যাচ্ছে এই ব্যক্তির মুখে, রেলকর্মীর কাজের প্রতি এই শ্রদ্ধাকে কুর্ণিশ না করে উপায় নেই।"