মঙ্গলবার জলের স্রোতে ভেসে যাওয়া ১০ দিনের গন্ডার শাবককে উদ্ধার করলেন বনকর্মীরা। পুরুষ গন্ডার শাবকটিকে কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

ভাসছে (flood-hit) অসমের কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক (Kaziranga National Park)। হু হু করে বাড়ছে জল। অভয়ারণ্যে ৭০ শতাংশ এলাকা জলের তলায়। এই পরিস্থিতিতে ক্রমশ বাড়ছে বন্য জীবজন্তুর মৃত্যুর সংখ্যা। বনকর্মীরা দিনরাত এক করে বাঁচাচ্ছেন তাঁদের। মঙ্গলবার জলের স্রোতে ভেসে যাওয়া ১০ দিনের গন্ডার শাবককে (Rhino calf) উদ্ধার করলেন বনকর্মীরা। পুরুষ গন্ডার শাবকটিকে কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। 

Scroll to load tweet…

গন্ডার শাবকটি ডুবতে বসেছিল বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকে বনকর্মীরা তাকে উদ্ধার করেন। শাবকটি অত্যন্ত দুর্বল বলে খবর। তাকে গরম দুধ খাওয়ানো হয়। শাবকটির মায়ের কোঁজ মেলেনি। মিহিমুখ হাইল্যান্ডের সেন্ট্রাল রেঞ্জ থেকে উদ্ধার হয় শাবকটি। 

Scroll to load tweet…

বন দফতর সূত্রে খবর, শাবকটিকে উদ্ধার করে সেন্টার ফর ওয়াইল্ড লাইফ রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড কনসারভেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে, ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে অসমে। প্লাবিত একাধিক এলাকা। এর জেরে এখনও পর্যন্ত দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের ২১টি জেলার প্রায় ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। 

Scroll to load tweet…

অসমের বাসিন্দাদের পাশাপাশি এই বন্যা পরিস্থিতির জেরে সমস্যায় পড়েছে বন্য পশুরাও। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত। তার জেরে সমস্যায় পড়েছে বন্য পশুরাও। ইতিমধ্যেই চারটি হরিণের মৃত্য়ু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

"