সংক্ষিপ্ত

তালিবানদের আফগানিস্তান দখল কাশ্মীরের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। ভূস্বর্গের নিরাপত্তা বাড়ান হয়েছে। নজরে রয়েছে পাকিস্তানও। 

কাশ্মীর নিয়ে তালিবানদের অবস্থান কী হবে? এখনও স্পষ্ট করে কিছুই বলেনি তালিবানরা। তবে মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে তালিবানরা জানিয়েছে, কোনও রকম সন্ত্রাসবাদী  হুমকি দেওয়ার জন্য আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু তারপরেও নিশ্চিত হতে পারছে না নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ভারতীয় কর্মকর্তরা। 

সূত্রের খবর তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরেই জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাড়ান হয়েছে। বাড়ান হয়েছে নজরদারী। কিন্তু তারপরেও আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সূত্রের খাবর তালিবানদের হাতে রয়েছে আমেরিকানদের সরবরাহ করা আধুনিক সমরাস্ত্র। আফগান ন্যাশানাল আর্মি ও কর্মীদের অস্ত্রের অধিকারিও তারা। তাই উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। 

মহিলাদেরও স্বাধীনতা নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি, আগের তালিবানদের থেকে দূরত্ব বাজায় রাখল বর্তমানরা

Afghanistan Crisis: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আফগানিস্তান নিয়ে, রয়েছেন অজিত ডোভাল

আফগানিস্তানের পট পরবর্তনের মধ্যেই পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর - ই -তৈবা সেদেশে পৌঁছে গেছে। তালিবানদের সাহায্যে বেশ কয়েকটি চেকপোস্টও তৈরি করেছে তারা। তাই তালিবানরা যদি পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করলে ভারতের চাপ আরও বাড়বে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অতীতে আফগানিস্তানে পাকিস্তানীদের ক্যাম্প ছিল তাই সেই কথা মাথায় রেখেই উপত্যকার নিরাপত্তা আরও বাড়ান হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এক সরকারি আধিকারিক। কাবুল সংলগ্ন কিছু গ্রামেরও দখলদারি তাদের হাতে। লস্করের একমাত্র  লক্ষ্য জম্মু ও কাশ্মীরের অশান্তি ছড়িয়ে দেওয়া। 

Afghanistan Crisis: তালিবানদের সমর্থন 'নয়', খোয়াতে হতে পারে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার আইএসআই-এর সঙ্গেই তালিবানদের সম্পর্ক মধুর। পাকিস্তান তালিবানদের সহযোগিতা করেছে- এই অভিযোগ আগের আফগান সরকার বারবার করেছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় প্রথম থেকেই পাকিস্তান তালিবানদের মদত গিয়ে আসছে। তাই পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা কাশ্মীর নিয়ে তালিবানদের ওপরে চাপ তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে ভারত। 

আফগানিস্তানের পট পরিবর্তনের পর ভারতের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও জটিল হয়েছে। এক প্রাক্তন ভারতীয় বিদেশ সচিব বলেছেন, কাবুলের পতনের পর তালিবানরা আফগানিস্তানে শুধু সরকার প্রতিষ্ঠা করে থেকে থাকবে এমনটা ভাবার কারণ নেই। তারা প্রতিপক্ষকে টার্গেট করার জন্য জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে। 

 

YouTube video player